এই বরষায়, কলাবতী না পদ্ম হবি – অনিন্দ্য টিটো

প্রকাশিত: ৭:৩৬ অপরাহ্ণ , জুন ১৫, ২০২১
কতকাল দেখি না
বাদলও দিনের প্রথম কদম ফুল
কামিনী, অলকানন্দ কিংবা বুকুল;
দেখি না, আদরে কী করে
ঘাসফুল, দোলনচাঁপায় জল’ফোঁটা লেগে থাকে
বর্ষা-স্নানে অপরূপা হয়ে উঠা তোকে!
আহা কতকাল হয় না দেখা
বর্ষার জলে যৌবনা হয়ে উঠা বিল-খাল!
পানকৌড়িদের মত ডুব সাঁতারে
শাপলা-শালুক তুলে, যে শিশুরা দামাল।
কালিমাখা মেঘে কী করে নামে ঘন ঘোর আঁধার
উঠোন’মাচায় ঝিঙে ও কুমড়াফুলের ছড়ানো বাহার।
কলমী আর হেলেঞ্চা ফুলেরা দোলে বৃষ্টির ফোঁটায়
পানাফুলের সাথে, নাচন ওঠে কী করে, ফণীমনসায়।
তুইও যে আমার বর্ষার রূপমাখা শিল্প
কবিতার শব্দঘর, প্রেমের ছোটগল্প
কতদিন গভীর রাতে তোকে লিখি না!
বর্ষার উচ্ছল যৌবনা মূর্তি-
তোর জল তরঙ্গের কোমড়ের ভাঁজ
কতদিন, আঙুলের ছোঁয়ায় আঁকি না।
বর্ষার মত যে অপরূপ তোর ছন্দ
কদম, কেয়া কিংবা অলকানন্দ্
বর্ষা-স্নানে সতেজ হই, জুড়িয়ে আমাদের সুপ্ত বাসনা।
আনন্দে-শীর্ষসুখে বর্ষা আমায়
খুলে খুলে তার সৌন্দর্য দেখায়
আহা! কত বরষা চলে যায়, তোকেই শুধু দেখি না।
এই ঘোর বরষায় তৃষ্ণাকাতর বুকেতে
প্রিয়তমা, কলাবতী না পদ্ম হবি?
না হয় সোনালু,জারুল,কৃষ্ণচূড়ার রঙে
গ্রামের মত হও,তুলিতে আঁকা ছবি!
• জুন ১৫, ২০২১।

Loading