নেত্রকোণায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকরা পাননি কোন সহায়তা

প্রকাশিত: ৪:১৩ অপরাহ্ণ , মে ১২, ২০২১

করোনা মহামারীতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য বিভিণ্ন ধরনের সহায়তা থাকলেও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের জন্য নেত্রকোণা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার সহায়তা প্রদান করা হয়নি।

একমাত্র উপার্জন ছিলো যাদের টিউশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তারা নিদারুন কষ্টে দিনাদিপাত করছেন।আবার কেউ কেউ বেছে নিয়েছেন উপার্জনের ভিন্ন পথ।

নেত্রকোণা জেলা শিক্ষা অফিসের তালিকাভূক্ত প্রায় ১০০টির উপরে কিন্ডার গার্টেন রয়েছে। এসকল কিন্ডারগার্টেনে নিম্ন আয়ের পরিবারের লোকজন শিক্ষকতা করেন। কারো কারো উপার্জনের একমাত্র পথ কিন্ডার গার্টেনে শিক্ষকতা আর টিউশন। বিগত এক বছর যাবৎ কিন্ডারগার্টেন বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও শিক্ষকগণ মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

জহুরা কিন্ডার গার্টেন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো: আজহারুল ইসলাম জালাল জানান করোনা মহামারীর শুরুতে তারা মানববন্ধন করে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের কাছে শিক্ষকদের সহায়তার কথা জানালেও এ পর্যন্ত তারা কোন প্রকার সহায়তা পাননি ফলে অনেক শিক্ষক খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। আসন্ন ইদের আনন্দ তাদের কাছে খুবই বেদনার।

অনলাইন কিন্ডারগার্টেন এর পরিচালক মো: জহির জানান, তিনি কোন উপায় না পেয়ে সারাদিন বাজারে ব্যাগ বিক্রি করে সংসার ও প্রতিষ্ঠানের বাসা ভাড়া ব্যয় নির্বাহ করছেন। তিনি আরও জানান নেত্রকোণা শহরে অবস্থিত কম্পিউটার বেসিক ট্রেড ট্রেনিং পরিচালনা করে এমন ১২টি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে সহায়তার জন্য আবেদন করলেও এক বছরেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার সহায়তা প্রদান করা হয়নি।

নেত্রকোণা শহরের অভিজ্ঞ জনপ্রিয় প্রাইভেট শিক্ষক উজ্জ্বল বিশ্বাস(ব্যবসায় শিক্ষা) জানান, প্রাইভেট না থাকাতে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।পরিবারের নিত্যদিনের খরচ পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে।

দি মর্নিং সান কিন্ডার গার্টেন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো: আব্দুছ সাত্তার খান জানান বিগত বছর নেত্রকোণা জেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন শিক্ষকদের সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন কিন্তু জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এক বছরেও মেলেনি কোন সহায়তা।

ক্রিয়েটিভ কিন্ডার গার্টেন এর শিক্ষক শংকর সরকার বলেন, টিউশন ও স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কোন উপায় না পেযে পত্রিকা বিক্রি করে সামান্য উপার্জনে কিছুদিন সংসার চালিয়েছেন। এখন তিনি মাঠে অন্যের জমিতে ধান কাটার কাজ করছেন।

জেলা প্রশাসক মো: কাজী আব্দুর রহমান জানান তিনি বিষয়টি খুঁজ-খবর নিয়ে দেখবেন।

এমতাবস্তায় কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক ও পরিচালকগণ করোনা মহামারীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রণোদনা সহায়তা প্রার্থনা করছেন।

 

Loading