করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে স্বাস্হ্যবিধি মেনে চলা ও স্বাস্হ্য সচেতনতাই একমাত্র পথ

প্রকাশিত: ৩:৪৮ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ১২, ২০২১

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে।প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।হাসপাতালগুলোতেও ঠাঁই নেই। কোভিড পরিস্থিতি বৃদ্ধি পেলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন কোন সচেতনতা নাই।  বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে এটি অন্যতম কারণ । এখন বিশেষ রকমের লকডাউনে আছে পুরো দেশবাসী। সত্যিকথা বলতে কি, এক সপ্তাহের ‘হাফ লকডাউনে’ কী উপকার হবে আমাদের তা আমরা বলতে পারছি না।এখন আবার লকডাউনের পরিধি বেড়েছে।শুধু সাধারণ মানুষের অসচেতনতার দোষ দিয়ে লাভ নেই; এক্ষেত্রে সরকারী নীতির ভূমিকা হতে হবে আরো জোরালো। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত্যু বেড়েছে ৭১শতাংশ।শনাক্তের হার ২১দশমিক শন্য ২শতাংশ। বিগত বছরে জুন-জুলাই মাসে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ছিল তীব্র।বর্তমান পরিস্হিতিতে শিশুরাও নিরাপদ নয়।এ বারের করোনা ঢেউয়ে শিশুদের করোনা থেকে রক্ষা করতে আরো বেশী সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন।এবারের করোনায় মাথাব্যথা,শারীরিক দুর্বলতা,শরীর ব্যাথার কথা বলছে অনেক শিশু।বড়দের মতো জ্বর কাশি,গলাব্যথা তো আছেই।আগে গন্ধহীনতার উপসর্গ হতো,তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। দেশে এখন চলছে করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ।প্রথম দিকের চেয়ে এবারের সংক্রমন রেকর্ড গড়েছে,মৃত্যুর দিক থেকেও রেকর্ড।এ প্রেক্ষিতে স্বাস্হ্য বিধি মেনে চলাই শ্রেয়। প্রতিদিন যে হারে এই ভাইরাস সংক্রমিত হচ্ছে এবং মৃত্যুকে আলিঙ্গন করছে সেটি রীতিমত আতংক সৃষ্টি করছে।এ ক্ষেত্রে টিকা নেওয়া যেমন জরুরী;স্বাস্হ্য সচেতনতা ও স্বাস্হ্য বিধি মেনে চলাও দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।ব্যক্তিগত স্বাস্হ্যবিধি মেনে চললে এটি পরিবার ও দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখবে।তাই নিজের সুরক্ষার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে।তাই আসুন সকলেই যথাযথ স্বাস্হ্যবিধি পরিপালন করে নিজেদের সুরক্ষিত রাখি।বর্তমান পরিস্হিতিতে কোভিড সংক্রমনে স্বাস্হ্যবিধি মেনে প্রতিরোধ করাই উত্তম পন্হা বলে আমি মনে করি।

 

Loading