সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন

প্রকাশিত: ৩:১৮ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ৩, ২০২১

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন- করোনার বিরাজমান পরিস্থিতিতে সরকার আগামী সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে সরকার লকডাউন ঘোষণা করছে। শিল্প কলকারখানা সর্তসাপেক্ষ চালু থাকতে পারে। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিস্তারিত জানাবে।’

ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।

এদিকে এক ভিডিও বার্তায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, ‘দ্রত বেড়ে যাওয়া করোনা সংক্রমন রোধকল্পে সরকার ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই সারাদেশে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে লকডাউন চলাকালে শুধু জরুরী সেবা দেয় সেই ধরনের প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। আর শিল্প কলকারখানা খোলা থাকবে, যাতে করে শ্রমিকরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে এবং বিভিন্ন শিপটিং ডিউটির মাধমে তারা কলকারখানায় কাজ করতে পারে।’

এদিকে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মাস্ক পরা জরুরি কর্তব্য বলে মনে করে সেগুলো পালন করার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে, কিন্তু এখনো অনেকেই মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অনিহা দেখাচ্ছে, যা প্রকারান্তরে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে আসতে পারে। নিজেদের সুরক্ষায় সবাই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করাই এখন মূল কাজ।

বিএনপি যে নেতিবাচক ভাইরাসে আক্রান্ত তা করোনার চেয়েও ভয়াবহ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা মহামারিতে বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে ঘরে বসে মিডিয়ায় ঝড় তোলা আর সরকারের অন্ধ সমালোচনা ও মিথ্যাচারই করোনাকালে বিএনপির সফলতা। তারা সরকারের কোন উদ্যোগ চোখে দেখে না।

একবার লকডাউন নিয়ে অপপ্রচার, আবার করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে মিথ্যাচার, কখনো কখনো সরকারের ব্যর্থতা খোঁজা বিএনপির রোজনামচা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হয়েও দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নূন্যতম মূল্যবোধও তারা হারিয়ে ফেলেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের সম্পদ বিনষ্ট আর নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে বিএনপি এবং তার সহযোগীরা যে তান্ডবলীলা চালিয়েছে তার জন্য বিএনপিকেই জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। আন্দোলনের নামে জনগণের উপর প্রতিশোধ নেওয়াই এখন বিএনপির কৌশল।

রমজানে অহেতুক মূল্য বৃদ্ধি ও মজুদদারিতা নিয়ন্ত্রণে সরকার সতর্ক রয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, রমজান এলেই এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়, যা শাস্তি যোগ্য অপরাধ। ইতোমধ্যে সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, বাজার অস্থির করার যে কোন অপপ্রয়াস সরকার মেনে নিবে না। কোন ধরনের সিন্ডিকেটের কাছে সরকার বাজার ব্যবস্থাকে জিম্মি হতে দিবে না।
সূত্র : বাসস

Loading