সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দারুণ কিছু সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও উন্নয়নের দিকে মনোযোগী হয়েছে এবং দ্রুত বর্ধনশীল বিশ্বের কাতারে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। ৬ শতাংশের অধিক জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) মাধ্যমে বাংলাদেশ তার দেশের মানুষের জীবনকে উন্নত করছে এবং বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। চীন বাংলাদেশের এমন উন্নয়নে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে।

বুধবার বিকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদযান উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীনের ভালো একজন বন্ধু ছিলেন উল্লেখ করে শি জিনপিং বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান চীনের খুবই পুরনো এবং ভালো একজন বন্ধ ছিলেন। ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে তিনি (বঙ্গবন্ধু) চীন সফরের মাধ্যমে মাও সেতুংসহ সে সময়ের অন্যান্য শীর্ষ চীনা নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করেছেন। আমরা কখনই আমাদের পূর্বসূরিদের ভুলবো না। তারা দু’দেশের মধ্যেকার সুসম্পর্কের যে ভিত তৈরি করে দিয়ে গেছেন, আমাদের এখন দায়িত্ব হচ্ছে- তা নতুন প্রজন্মকে বুঝিয়ে দেওয়া।

চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ৫০ বছর আগে শেখ মুজিব এ দেশের গোড়াপত্তন করেন। তিনি তার জীবন এ দেশ ও দেশের জনগণের প্রতি উৎসর্গ করেছেন। ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন তা আজও ১৬ কোটি মানুষকে উৎসাহিত করে, উল্লেখ করেন শি জিনপিং।

তিনি বলেন, ৪৬ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কে আমরা পরস্পরের প্রতি সর্বদা সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে আচরণ করে আসছি। আমরা একে অপরকে সমর্থন করেছি এবং উন্নয়নের পথে একত্রে কাজ করে যাচ্ছি। ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে চীন সঙ্গী হতে পারে বলেও প্রত্যাশার কথা জানান শি জিনপিং।##যুগান্তর