চসিকের ৩শ’ কোটি টাকা ঝুলে আছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে

প্রকাশিত: ৫:৩৩ অপরাহ্ণ , নভেম্বর ১৩, ২০২০

বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রায় তিনশ কোটি টাকা কর পাওনা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। বকেয়া এই কর আদায় না হওয়ায় আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে কর আদায়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 

সিটি করপোরেশনের তথ্য বলছে, চট্টগ্রামে সরকারি হোল্ডিং ১ হাজার ৫১৬টি। সরকারি এসব প্রতিষ্ঠানের হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ পাওনা ২৮০ কোটি টাকার বেশি। বিপুল পরিমাণ কর বকেয়া থাকায় নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনায় হিমশিম খেতে  হচ্ছে সিটি করপোরেশনকে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মুফিদুল আলম বলেন, ‘স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে, যদি আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে আশা করা যায় আমাদের খুব বেশি সমস্যা হবে না।’

নগর উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা, আধুনিক ও পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পৌরকর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বলছেন নাগরিক আন্দোলনের নেতারা।

জানতে চাইলে নগর পরিকল্পনাবিদ ও নাগরিক আন্দোলনের নেতা স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে এখন যে আইনগত ক্ষমতা আছে, সেটা খুবই সীমিত। তাই কাঙ্খিত সেবা দিতে গেলে অবশ্যই সিটি করপোরেশনকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি মেয়রের ক্ষমতা বাড়ানো দরকার।।’

বকেয়া পৌর কর আদায়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

তিনি বলেন, ‘যারা এই শহরের সুযোগকে ব্যবহার করে টাকা কামায় তারা প্রাপ্যটা দিচ্ছে না। তাই এ ব্যাপারে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিচ্ছি। এ শহরের বিরাট অর্থনৈতিক ও ভৌগলিক সক্ষমতা আছে। এটাকে ব্যবহার করে টাকাটা আমরা আদায় করার চেষ্টা করব।’

বকেয়া থাকা পৌরকর আদায় করা গেলে নগরবাসীর কাঙ্খিত সেবা দেয়া আরও সহজ হবে বলেও জানান তিনি।

Loading