আশুলিয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় শিক্ষক আটক

প্রকাশিত: ২:০৯ অপরাহ্ণ , সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০

উপকণ্ঠ সাভারের আশুলিয়ায় একটি মাদ্রাসায় দুই শিশু শিক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে মারধর করার অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক ইব্রাহিম মিয়া(৪৫)কে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে আশুলিয়ার স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নের শ্রীপুরের নতুন নগর মথনেরটেক এলাকায় জাবালে নুর মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

  1. (ভিডিও)

এর আগে গতকাল ওই মারধরের একটি সিসিটিভি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি এবং অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে গ্রেফতারের দাবী ওঠে। এ ঘটনায় নির্যাতিত শিশু রাকিবের পিতা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

আটক ইব্রাহিম কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার দুর্গাপুর গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার। তিনি ওই ছয়তলা বাড়িটির মালিক।

নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা হলো- রাকিব ও মাহফুজ। রাকিব ঘটনার পর থেকে তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অপরদিকে মাহফুজ ঝালকাঠি জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। সে এখনও মাদ্রাসায় আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশুলিয়ার শ্রীপুরের নতুননগর মথনেরটেক এলাকায় জাবালে নুর মাদ্রাসায় শিশু শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন ও মাহফুজুর রহমানকে হাত পা বেধে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সামনে প্রকাশ্যে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ইব্রাহিম মিয়া। পরে শিশু রাকিবের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইলের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দুই শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হলে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। পরে গতকাল রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ইব্রাহিম মিয়াকে আটক করে পুলিশ।

 

শিক্ষার্থীরা জানায়, পেটানোর সময় দু’জনই অনেক অনুনয়-বিনয় করে জোড় হাতে মাফ চেয়ে শিক্ষকের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছিল। তবুও শিক্ষক ইব্রাহিম তাদের দুইজনকে ব্যাপক মারধর করেন।

এলাকাবাসী জানায়,গত দুই বছর আগে আশুলিয়ার শ্রীপুরের নতুননগর মথনেরটেক এলাকায় জাবালে নুর মাদ্রাসা চালু করেন ওই এলাকার আব্দুল জব্বার। ওই মাদ্রাসায় আগে দুই’শ শিক্ষার্থী থাকলেও নির্যাতনের কারণে এখন মাত্র ১৪ জন শিক্ষার্থী ও দুই জন শিক্ষক রয়েছে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান জানান, এঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Loading