জোর করে জান্তাবাহিনীতে ঢুকানো হচ্ছে রোহিঙ্গাদের

প্রকাশিত: ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ , ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪

মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে করতে জোর করে জান্তাবাহিনীতে ঢুকানো হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। এরই মধ্যে রাখাইন রাজ্যের অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু ক্যাম্প ও বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৪শ’ জনকে প্রাথমিক প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতেই রোহিঙ্গাদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।

বিদ্রোহীদের তীব্র হামলায় কোণঠাসা মিয়ানমারের জান্তা বাজিনী। গেল কয়েক মাস যুদ্ধে নিজেদের শক্তি সামর্থ্য হারিয়ে অনেকটাই দুর্বল। প্রাণ বাঁচাতে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা।

শক্তি পুনরুদ্ধারে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সব নারী পুরুষকে বাধ্যতামূলক সামরিক বাহিনীতে যোগদানের বিধান চালু করে সরকার। তবে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায় যখন তরুণ-তরুণীরা দেশ ছাড়তে শুরু করে।

এ অবস্থায় এবার রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দিকে নজর জান্তাবাহিনীর। রাখাইনের বিভিন্ন গ্রাম এবং বাস্তুচ্যুতদের শিবির থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে রোহিঙ্গা পুরুষদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দিচ্ছে জান্তা সরকার। এরই মধ্যে রাজধানী সিত্তে থেকে ৩শ’ এবং বুথিডং এলাকার চারটি গ্রাম থেকে অন্তত ১শ’ জনকে আটক করে সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছে। ২ সপ্তাহ ট্রেনিং দেয়া হবে তাদের।

পাশাপাশি প্রতিটি ছোট গ্রাম থেকে ৫০ জন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু শিবির ও বড় গ্রাম থেকে ১০০ জনের তালিকা দিতে স্থানীয় রোহিঙ্গা নেতা ও প্রতিনিধিদের ওপর চাপ দিচ্ছে সামরিক বাহিনী। সেনাবাহিনীর সাথে কাজ করতে বাসিন্দাদের এক বস্তা চাল, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং নগদ অর্থেরও প্রলোভন দেখানো হচ্ছে।

সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক নিয়োগের বিধান শুধু মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু রোহিঙ্গাদের নাগরিক পরিচয় রদ করেছে মিয়ানমার সরকার। স্থানীয়দের শঙ্কা যুদ্ধে রোহিঙ্গাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করতেই এই কার্যক্রম চালাচ্ছে জান্তা সেনারা।

Loading