বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সিলেটবাসীর আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক

প্রকাশিত: ৬:৫২ অপরাহ্ণ , অক্টোবর ২৯, ২০২১

আহমেদ বকুল 

সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে চমৎকারভাবে। সিলেটে একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ছিল সিলেটবাসীর প্রাণের দাবি। সিলেটবাসীর দাবির প্রতি একাত্মতা পোষণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সিলেটে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন প্রদান করেন ২০১৮ সালের পহেলা অক্টোবর। ২০ নভেম্বর সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক ডাক্তার মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী। সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নামে বিশ্ববিদ্যালয়টি অনুমোদিত হলেও সম্প্রতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট করা হয়েছে। গত ২৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌহাট্টাস্থ অস্থায়ী ক্যাম্পাস কার্যালয়ের হলরুমে তৃতীয় সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন সভাপতি, উপাচার্য প্রফেসর ডা. মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী। এর আগে সংসদীয় ৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান সংসদে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ সিলেট, করার জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, জাতীয় অধ্যাপক শাহলা খাতুন,বাংলাদেশ মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য মো. আলমগীর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর

তৃতীয় সিন্ডিকেট সভা

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ডা. সাইফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন এর সভাপতি ডা. মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাক্তার আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খলিলুর রহমান, আর টি এম ইন্টারন্যাশনাল এর প্রতিষ্ঠাতা ড. আহমদ আল কবির, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাখাওয়াত হোসেনসসড় সিন্ডিকেটের সকল সদস্যবৃন্দ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) মো. নাঈমুল হক চৌধুরীর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রদান করা হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের একটি আন্তর্জাতিক গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলার জন্য উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী তাঁর জ্ঞান মেধাকে কাজে লাগিয়ে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী একজন ক্লিন ইমেজের মানুষ। তিনি বাংলাদেশের একমাত্র ভিসি, যিনি সরকারি বাসভবনে থাকেন না। নিজ বাসভবনে থেকে তাঁর বাসায় কর্মরত কর্মচারীদের সকলের খাবারের ব্যবস্থা করেন নিজস্ব তহবিল থেকে। এতে প্রতি মাসে সরকারের দুই থেকে তিন লক্ষ টাকার মত সাশ্রয় করে নজির স্থাপন করেছেন। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছার নামে বিশ্ববিদ্যালয়টির নামকরণ হওয়ায় একটি মহল অখুশি । যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য বিভ্রাট এবং প্রতিহিংসামূলক সংবাদ পরিবেশন করছে গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী। এভাবে অপপ্রচারমূলক ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানহানি সহ জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার জন্য বাঞ্ছনীয় নয়। সবার উচিৎ বঙ্গমাতা ফজিলতুন্নেসা মুজিব নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুন্ন রাখা। উল্লেখ্য,এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অন্যতম রূপকার ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে মোমেন সহ অনেকেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য নগরীর উপকন্ঠে দক্ষিণ সুরমায় আশি একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। এ লক্ষ্যে ডিপিপি মাস্টার প্ল্যান তৈরি পূর্বক অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সাতটি মেডিকেল কলেজ,একটি ডেন্টাল কলেজকে অধিভুক্ত করে দুটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে একাডেমিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রার অংশ হিসেবে ২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এমবিবিএস কোর্স এর পেশাগত পরীক্ষা। এর আগে বিএসসি ইন নার্সিং পরীক্ষা সফল ভাবে সম্পন্ন করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে । উপাচার্য মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী কর্তৃক বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কে বিশ্ব মানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার জন্য তাঁর উন্নয়ন প্রকল্প সকলের কাছে প্রশংসা লাভ করেছে। সিলেটবাসী চায় তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছে যাক।

Loading