ধামরাইয়ে ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসের ধোঁয়ায় ধানের ক্ষতি,ক্ষতিপূরণ পেলেন ৩৫০ জন কৃষক

প্রকাশিত: ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ , জুন ৭, ২০২২

 

ঢাকার ধামরাইয়ে ইট ভাটার বিষাক্ত কালো গ্যাসের ধোঁয়ার কারণে ধানক্ষেত পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষতিপুরণ পেলেন ১৫৪ জন কৃষক।গত সোমবার বিকেলে উপজেলা হলরুমে কৃষকদের হাতে ক্ষতিপুরণ টাকা তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী।এতে মোট ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ছিল।এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কষিবিদ কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল হাসান, ইটভাটার মালিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ প্রমুখ। গত এপ্রিল মাসে ভাড়ারিয়া, কুশুরা , ধামরাই সদর ,সোমভাগ শতাধিক কৃষকের বোরো ধানের জমি ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসের ধোঁয়ায় আগুনে পুড়ে যায়।
জানা যায়, গত সোমবার এবং এর আগে মিলে মোট ৩শত ৫০ জন কৃষকের প্রায় ৪ হাজার ১ শত শতাংশ জমির বোরো ধান পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় ১৮ লক্ষ ৭ত হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেন ।
কুশুরা ইউনিয়নের নুর ব্রিক্স—১, নুর ব্রিক্স—২,খান ব্রিক্স, মদিনা ব্রিক্স, রাহাত ব্রিক্স এবং ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের এম এমবি ব্রিক্স ও এম এএম ব্রিক্স, এর কালো বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে কৃষকের প্রায় ৪ হাজার ১ শত শতাংশ বোরো ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। ভাড়ারিয়া ও সানোড়া ইউনিয়নেই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল । কৃষকরা ইট ভাটার মালিকদের কাছ থেকে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা না পেয়ে বিষয়টি উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা আরিফুল হাসান মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান।
ওইসময় পুড়ে যাওয়া ধান গাছ নিয়ে কয়েকশত কৃষক উপজেলা চত্বর এবং সূতিপাড়া ইউনিয়নে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে মানববন্ধন করেন। বিষয়টি কর্মকর্তাদের নজরে আসলে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আরিফুল হাসান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকীসহ সকল উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষন করে বিষয়টির সত্যতা পান।
পরবর্তীতে উপজেলা কৃষি অফিসার আরিফুল হাসান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি ভোক্তভুগী কৃষক ও ইট ভাটার মালিকদের সাথে কথা বলে ১৮ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা আদায় করেন ৭টি ইট ভাটার মালিকদের কাছ থেকে।এতে৩ শত ৫০ জন কৃষক লোকসানের হাত থেকে বেঁচে যায়।

 

Loading