নৌকা শেখ হাসিনার প্রতীক তাই প্রার্থী দেখে নয় নৌকা মার্কা দেখে ভোট দিন- শার্শার বাহাদুরপুর ঘিবায় পথসভায় শেখ আফিল

প্রকাশিত: ১২:৫৬ পূর্বাহ্ণ , জানুয়ারি ৩, ২০২৪

তৃণমূলের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দেয়ার আহবান জানিয়ে যশোর-১ (শার্শা) আসনের টানা ৩ বারের সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন বলেছেন, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর শার্শাবাসী আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সংসদে পাঠিয়েছিলেন। আমি এলাকার মানুষের সাথে বেঈমানি করিনি। আমার সকল নির্বাচনী ওয়াদা পালন করেছি। সংসদে গিয়ে প্রথমে আমি শার্শা উপজেলার ভূতুড়ে পল্লীগুলোর কথা বলেছি। বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর থেকে ৭ নম্বর ঘীবা পর্যন্ত মানুষের দুঃখ দূর্দশার কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রীকে শুনিয়ে স্পষ্ট ভাষায় বলেছি, মাননীয় স্পীকার! আমার নির্বাচনী আসনের ঘীবা পল্লীতে রাস্তার খুব দৈন্যদশা। তা অনুভব করলে গায়ের লোম শিহরে উঠবে। এখানে বর্ষার মৌসুমে হাটুর উপরে কাঁদা আর শুকনো মৌসুমে সেরকম ধুলো পেরোতে হয়। এখানকার মানুষ খুব কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছে। যার একটা বাস্তব উদাহরণ, এ এলাকার মেধাবী ও স্মার্ট ছেলেমেয়েদের বিয়ের জন্য শহর এলাকার ভালো কোনো বংশের মানুষ আত্মীয়তা করতে আসে না।

এলাকায় ঘীবা এখন প্রচলিত গালি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কথায় কথায় একে-অন্যকে ঘীবের লোক বলে নিম্ন শ্রেণীর মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করে। যা মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী অবাক বিষ্ময়ে শুনেছেন এবং তা আমলে নিয়ে এই ঘীবা গ্রামসহ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সকল রাস্তা পাকা করে দিয়েছেন। দেশব্যাপী বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করার সাথে একযোগে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে ঘীবা পল্লীর প্রত্যেকটি বাড়িতে একই আলোয় আলোকিত করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নে সেই ভূতুড়ে পল্লী’ ঘীবে এখন শহরের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। আওয়ামী লীগ সরকারের এ উন্নয়েনর কথা এলাকাবাসী আজীবন মনে রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। একইসাথে বিশ্বাস করি ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।

মঙ্গলবার বিকেলে শার্শা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ঘীবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে একথা বলেন তিনি।

শার্শার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান তিতাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনী সভায় শেখ আফিল উদ্দিন আরও বলেন, আপনাদের দু:সময়ে যে প্রধানমন্ত্রী আপনাদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সম্মানীত করেছেন সেই মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ নৌকা প্রতীক নিয়ে এই নির্বাচনে আপনাদের সালাম জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের মার্কা নৌকা। আমি যাদেরকে নৌকা মার্কা দিয়েছি, তাদেরকে আপনারা যাচাই করতে যাবেন না। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবেন।

এসময় শেখ আফিল উদ্দিন আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরে দেশব্যাপী উন্নয়নের চিত্র এখন প্রত্যেক মানুষের দ্বোরপ্রান্তে। শার্শা উপজেলাবাসীর উন্নয়ন এলাকাবাসীর চোখের সামনে বিদ্যমান। যা সারাক্ষণ কোন না কোন কাজে ব্যবহার করছেন। এজন্য উন্নয়নের সরকার আওয়ামী লীগকে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। তাহলে, আওয়ামী লীগ সরকার আপনাদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার মনে রেখে বিপুল উৎসাহে আরও উন্নয়ন করবে। আপনারা কেবল চাইতে থাকবেন, আমি আপনাদের সকল উন্নয়নের চাহিদা মেটাতে থাকবো


এরপর তিনি সন্ধ্যা ৭ টার সময় লক্ষণপুর ইউনিয়নের পাড়ুইখুপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মরিয়ম খাতুনের জানাযায় উপস্থিত হোন। মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং মরহুমার পরিবারের সাথে সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। মৃত মরিয়ম খাতুন লক্ষণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামছুর মেম্বারের ছোট বোন।

এসময় সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিনের সফরসঙ্গী ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আসিফ উদ-দৌলা অলোক, দৈনিক স্পন্দন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মাহাবুব আলম লাবলু, শার্শা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর হোসেন, শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও যশোর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সালেহ আহমেদ মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, কোষাধক্ষ ওয়াহিদুজ্জামান ওহিদ, শার্শা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া ফেরদৌস, বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক মুকুল, বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বজলুর রহমান, শার্শা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন আহমেদ তোতা, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক, শার্শা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বৈদ্যনাথ দাস, যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদ, সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম সরদারসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

নির্বাচনী সভায় স্থানীয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা বাদশা মল্লিক, আব্দুর রশিদ, বাহাদুরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান তিতাস, যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম, ইব্রাহীম বিশ্বাষ, জুলহাস হোসেন, আমির হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

জ্বানাযায় স্থানীয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন ভুইয়া, গোলাম মোস্তাফা প্রমুখ।

Loading