বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে সেনা রিজিয়ন ও পার্বত্য জেলা পরিষদ

প্রকাশিত: ৮:০৬ অপরাহ্ণ , নভেম্বর ২৬, ২০২৩

বান্দরবান প্রতিনিধি:- বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার পাইক্ষ্যং ও ক্যাপলং পাড়া পুনর্বাসিত প‌রিবারদের মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে সেনা রিজিয়ন ও পার্বত্য জেলা পরিষদ।

আজ রবিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ক্যাপলং পাড়া স্কুলের মাঠে ও পাইক্ষ্যং পাড়ায় ১১০টি পরিবারকে এ মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

এসময় ক্যাপলং পাড়ার ৩০টি পরিবার ও পাইক্ষ্যং পাড়ার ৮০টি পরিবারসহ মোট ১১০টি পুনর্বাসিত পরিবারকে খাদ্য, ঔষধ, শীত বস্ত্র এবং ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

মানবিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড ও রিজিয়ন কমান্ডার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ এসজিপি, এনডিসি, এএফডাব্লিউসি, পিএসসি, পিএইচডি। আরো উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মাহমুদুল হাসান পিএসসি, জেলা পরিষদের সদস্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোরশেদ আলম, বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লাল জারলম বম, রোয়াংছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চহাইমং মার্মা, পাড়া কারবারিসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।

গত ৫ই নভেম্বর বান্দরবানের রুমা উপজেলার মুনলাই পাড়াতে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সাথে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এর প্রথম মুখোমুখি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বৈঠকের পর সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় নিজ গ্রামের বাড়িতে ফিরতে শুরু করে বম সম্প্রদায়ের জনসাধারণ

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন, দীর্ঘ সংহিতসতায় এই এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ধাপে ধাপে কিভাবে শান্তি আলোচনার অগ্রগতির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় সেইদিকে আমরা এগিয়ে যাব। পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

৬৯ পদাতিক ব্রিগেড ও রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা চাই একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ বান্দরবান যেখানে সকল সম্প্রদায়ের মাঝে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় থাকবে। যারা পূর্বে পাড়া থেকে চলে গিয়েছিলো তারা নির্ভয়ে আবার পাড়ায় ফিরে আসতে পারবে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেনাবাহিনী অতিতের মতো এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে।

উল্লেখ্য, কেএনএফ’র ভয়ে কয়েক পাড়া হতে পালিয়ে যায় বম জনগোষ্ঠীর ৯৭ টি বেশি পরিবারের প্রায় ৪০০ জন। নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে চলা অস্থিরতার অবসান ঘটে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফ’র শান্তি আলোচনার মাধ্যমে।

Loading