পটিয়ায় গুলশান মেহরিন ভবনের মালিকানা নিয়ে রহস্যের জট !

এস.এম.এ জুয়েল এস.এম.এ জুয়েল

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ , নভেম্বর ১৭, ২০২৩

চট্টগ্রাম পটিয়া  গুলশান মেহরিন রেস্টুরেন্ট ভবন দখল বেদখল নিয়ে দু পক্ষ মুখোমুখি হয়ে পড়ায় সংঘর্ষের আশংকা দেখা দেয় । পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর)এ নিয়ে সন্ধ্যা অবদি টান টান উত্তেজনা বিরাজ করায় পোস্ট অফিস মোড়স্থ গুলশান মেহরিনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এ নিয়ে সন্ধ্যায় দু পক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করেছে।
জানা যায়, পটিয়া পৌর সদরের পোস্ট অফিস মোড় সংলগ্ন গুলশান মেহরিনের মালিকানা নিয়ে ভবন ও ভূমি মালিক ডা: কানিজ ফাতিমা এবং, দোকান মালিক হাসান উল্লাহ চৌধুরীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। এর মধ্যে কানিজ ফাতিমা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গুলশান মেহরিন সহ পুরো ১০ গন্ডা ভূমি তার পৈত্রিক ও আপন ভাই মারা যাওয়ায় একক ভাবে মালিক বলে দাবি করেন। তিনি ও তার স্বামী অসুস্থ দাবি করে তিনি চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন হওয়ায় গুলশান মেহরিনে বকেয়া ভাড়ার টাকা না দেওয়াতে দোকানে তালা মেরেছেন। তবে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করতে চাইলে ও পরে বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টা মিমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান । তিনি আরো বলেন, তার মালিকানাধীন ভূমি জনৈক মোঃ আবছারের কাছে পাওয়ার দিয়েছেন বলে তিনি জানান। তিনি বলেন আইন মতে আমি পুরো সম্পত্তির মালিক।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন আবছার, আবু ছালেহ মোঃ শাহরিয়ার ।

এরপরেই সংবাদ সম্মেলন করে পাল্টা অভিযোগ করেন, হাসান উল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন বৃহস্পতিবার সকালে আকস্মিকভাবে শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে কানিজ ফাতিমা আমাদের চালু রেষ্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে ক্যাশ ভেঙ্গে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়, সাইন বোর্ড ভেঙে দেয়, এমনকি সিসি ক্যামেরা ও ভাংচুর করে । পরে প্রবেশ মুখে তালা লাগিয়ে দেয়। আমরা থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ আসলে তালা খুলে দেয়। এ সময় কর্মচারীদের উপর ও হামলা করে। হাসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন এ ভূমির উপর তার যেমন অধিকার আছে আমাদের ও খরিদা ও ইসলামী ফরায়েশ মোতাবেক অধিকার আছে।তিনি আমাদের সাথে কথা না বলে সন্ত্রাসী এনে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চায়। আমি কানিজ ফাতিমার কথামত উভয়ের এক মধ্যস্থতাকারীর প্রস্তাব মতে তার অর্ধেক অংশ ক্রয় করার জন্য সাড়ে তিন কোটি টাকার পে অর্ডার করেছিলাম। কিন্তু তিনি স্বার্থান্বেষী মহলের কুপ্ররোচনায় সেই চুক্তি থেকে সরে গিয়ে আমাদেরকে বঞ্চিত ও মিথ্যা অপপ্রচার করে হয়রানি করতে চায়। তিনি মুসলিম ফরায়েস না মেনে অযথা পরিস্থিতি ঘোলাটে করছে। আমরা এখনো অনুরোধ করবো যে, আলোচনার কোন সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। প্রশাসন উদ্যোগ নিলে যে কোন আইনী সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব। ভাংচুর ও আহতের ঘটনায় থানায় লিখিত আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ফুতো ওয়ারিশ দাবি করা মোঃ ইউসুফ চৌধুরী, মাহাবুবুল আলম চৌধুরী, জাকির হোসেন চৌধুরী।

Loading