তিন প্রকল্প উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা- নরেন্দ্র মোদি

প্রকাশিত: ২:৫৭ অপরাহ্ণ , নভেম্বর ১, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।

আজ বুধবার তাঁরা ঢাকা ও নয়াদিল্লি থেকে যৌথভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোতাম টিপে প্রকল্পের ফলক উদ্বোধন করেন।

এর মধ্যে ১২ দশমিক ২৪ কি.মি. আখাউড়া-আগরতলা আন্ত:সীমান্ত রেল সংযোগ, খুলনা-মংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা।

১২.২৪ কিলোমিটার আখাউড়া-আগরতলা ক্রস-বর্ডার রেল সংযোগ প্রকল্পটি বাংলাদেশে ৬.৭৮ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেললাইন এবং ৫.৪৬ কিলোমিটার ত্রিপুরায় ৩৯২.৫২ কোটি টাকা ভারতের অনুদান সহায়তায় বাস্তবায়িত হয়েছে। সোমবার এই রুটে ট্রায়াল রান হয়েছিল, যেখানে বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত একটি পণ্যবাহী ট্রেন চলে।

অন্যদিকে যাত্রীবাহী ট্রেনের ট্রায়াল রান শিগশিরই অনুষ্ঠিত হবে বলেও সূত্র জানিয়েছে।

খুলনা-মংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পটি ভারতের রেয়াতি লাইন অফ ক্রেডিট দিয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। যার মোট প্রকল্প ব্যয় ৩৮৮.৯২ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় এলওসি থেকে ৬৯.১৮ শতাংশ অর্থায়ন)। প্রায় ৬৪.৭ কিলোমিটার রেললাইনের নির্মাণ কাজ ৪,২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে। যা মোংলা বন্দরসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন সুযোগের সূচনা করবে।

রেল সংযোগ চালু হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মংলা ব্রডগেজ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয়েছে।

এছাড়া মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট ভারতীয় কনসেশনাল ফিনান্সিং স্কিম লোনের অধীনে নির্মাণ হচ্ছে।

বিআইএফপিসিএল সূত্র জানায়, নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড নামে বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসিলি যৌথভাবে এই কোম্পানি গঠন করেছে। দুই দেশের দুই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এই কোম্পানির সমান অংশীদার।

বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে উভয়ের মধ্যে ২০১২ সালের ৩০ আগস্ট বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লিঃ এর মধ্যে চুক্তি হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২শ’ কোটি ডলার। এই কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়।

প্লান্টটি বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে।

মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ১ম ইউনিট ও ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীগণ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন এবং আজ এর ইউনিট-২ উদ্বোধন করা হলো।

Loading