নোয়াখালীতে ওয়ে হাউজিং ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতের স্থিতাবস্থা নির্দেশ

প্রকাশিত: ৮:০৮ অপরাহ্ণ , অক্টোবর ২৬, ২০২৩

ইফতেখাইরুল আলম,স্টাফ রিপোর্টার:

 

নোয়াখালী সদর উপজেলার সোনাপুর মৌজার তৎকালীন ৫নং তৌজিধীন পরগনা ভুলুয়া উপরিস্বত্বের মালিক অমর কৃষ্ণ সেন নামীয় জমিদারীর ভূমি বিগত ১৭/১২/১৯০৪ ইং তারিখে ৩৫২৪ নং যৌথ কবুলিয়ত মূলে মালিক আবদুল ছোবাহান।উক্ত কবুলিয়তে উল্লেখ রয়েছে, ক”তপছিলে ৬২০ দাগ ও খ” তপছিলে ৫১৮ দাগে জমির পরিমাণ ৪৭ শতাংশ রকম পুকুর। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,আবদুল ছোবহানের পিতা মরহুম আহমেদ আলী প্রকাশ টুকু বকশীর নামে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন এবং উত্তর পাশের পুকুরটি মুসল্লী ও সর্বসাধারণের ব্যবহার চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখেন।তৎকালীন সময়ে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে নোয়াখালীর পুরাতন শহর লন্ড-বন্ড হয়ে যায়।পরে আবার পূনরায় আস্তে আস্তে সোনাপুর বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়। বাজার মুখি জনসাধারণ ও মুসল্লীরা উক্ত পুকুরে হাত-পা,ওযু,গোসল করা সহ নানা কাজে বাজারের আশ-পাশের স্থানীয় এলাকাবাসি ব্যবসায়ীরা শত বছর ধরে পুকুরটি ব্যবহার করে আসছে।পুকুরটি ভরাট করলে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশংকা রয়েছে।এ বিষয়ে টুকু বকশী মসজিদের শত-বছরের পুরনো পুকুরটি মৃত তাজল ইসলামের ছেলে আমিনুল ইসলাম কাউছার,মুকবুল আহমেদের ছেলে বেলাল হোসেন,মৃত সায়েদুল হক ভূইয়ার ছেলে মজিবুল হক ভূইয়া,ছেরু মুন্সীর ছেলে আবদুল মালেক সহ কতেক নাঠা প্রকৃতির কুচক্রী মহল একএিত হয়ে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে রাষ্ট্রের জলাশয় সংরক্ষণ ও পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে পুকুরটি ভরাট করছে। প্রায় ১ শত ৩০ বছরের পুরনো পুকুরটি ওয়ে হাউজিং ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির সাথে চুক্তি ভিত্তিক বহুতল ভবন নির্মাণ করার পায়তারা করছে এবং তারা তৎমর্মে সেখানে সাইন বোর্ড লাগিয়েছে। অপরদিকে মসজিদ সহ সোনাপুর বাজারের কয়েক হাজার ব্যবসা প্রতিষ্টান রয়েছে, ভবিষ্যতে বাজার সহ আশপাশের এলাকায় আগুন লাগলে পানি সংকটে হাজার হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত ও পরিবেশ চরম হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। শতবর্ষী পুরনো পুকুরটি ভরাটের প্রতিবাদে ওয়ে হাউজিং ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ও মসজিদের মুসল্লীগন সহ বাজারে ব্যবসায়ীরা জড় হয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে গত ২১ শে মে ২০২২ ইং সোনাপুর জিরো পয়েন্ট সহ চৌমুহনী মাইজদী সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় মানববন্ধন কর্মসূচিতে ব্যক্তব্য রাখেন,স্থানীয় টুকু বকশী মসজিদ কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান বুলবুল,অ্যাড মুহাম্মদ সামছুল ফারুক,আহসান উল্যাহ মন্টু প্রমুখ। বক্তারা বলেন,শত বছরের পুরনো পুকুরটি ভরাট করা হলে।বাংলাদেশের প্রচলিত পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধনী-২০১০) এর ৬(ঙ)ধারা ও জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ এর ২(চ)ধারা লঙ্ঘন করা হবে।পরিবেশ অধিদপ্তর নোয়াখালীর ভূমিকা রহস্য জনক বলে উক্ত মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মৃত সামছল হক মিয়ার ছেলে আহসান উল্লাহ মন্টু গং বাদী হয়ে,নোয়াখালী জেলা প্রশাসক,সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার,সহকারী কমিশনার(ভূমি)পৌর মেয়র নোয়াখালী,উপ-পরিচালক পরিবেশ অধিদপ্তর এবং স্বত্বাধিকারী ওয়ে হাউজিং ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি সহ মোট ১০ জনকে বিবাদী করে দেওয়ানী মামলা নং ৬২৯/২০২২ইং সিনিয়র সহকারী জজ সদর,নোয়াখালী আদালতে রুজু করেন।তারেই ধারাবাহিকতায়,নোয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত গত,১৯/৯/২০২৩ইং তারিখে আদালত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন এবং উক্ত আদেশে বিজ্ঞ আদলত ন্যায় বিচার স্বার্থে আপত্তি দাখিল ও শুনানি পর্যন্ত ৬-১০ নং বিবাদীপক্ষ ও বাদীপক্ষ কে নালিশী ভূমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। ১২৫ নং সোনাপুর মৌজার জিলা জরিপি ১০ নং খতিয়ানের ৬২০ দাগ রকম পুকুর ৪৭ শতক এবং দিয়ারা জরিপি ৪৬ নং খতিয়ানের ৫১৮ দাগ রকম পুকুর ৪৭ শতক।যাহার স্থানীয় চৌহুদ্দি উত্তরে জেলা পরিষদের রাস্তা ও দোকান,দক্ষিনে টুকু বকশী মসজিদ,পূর্বে-৪ লেইন সড়ক,পশ্চিমে বাড়ী বলে জানা গেছে।

Loading