নোয়াখালীতে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে জনতার গণপিটুনিতে গ্রেফতার-২

প্রকাশিত: ১:৩৩ অপরাহ্ণ , অক্টোবর ১০, ২০২৩
ইফতেখাইরুল আলম,স্টাফ রিপোর্টার
ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজী, কবিরহাটে দুজনকে গণপিটুনী। নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ম্যাজিস্ট্রেট ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদাবাজিকালে দুই ব্যক্তি গণপিটুনির শিকার হয়েছে। পরে দু’জনকেই পুলিশে দিয়েছে জনতা। তাদের কাছ থেকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জাল পরিচয়পত্রসহ দৈনিক পত্রিকার নামে চারটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার দুইজন হলেন, নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজ উল্যার ছেলে গোলাম মোস্তফা বুলবুল (৪৪) ও চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুরের মো. শাহজাহানের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম সোহাগ (৩৮)। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে তাদেরকে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে, সোমবার রাতে কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রাম বাজার থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার গোলাম মোস্তাফা বুলবুল ও রিয়াজুল ইসলাম সোহাগ সোমবার সন্ধ্যায় নিজেদেরকে ম্যাজিস্ট্রেট ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয়ে কবিরহাট উপজেলার নবগ্রাম বাজারে যান। তারা ওই বাজারের সারের ডিলার সহিদ উল্লাহর দোকানে গিয়ে নানা রকম জেরা করতে থাকেন। বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগে তারা সহিদের কাছে ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ সময় তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাদের পরিচয়পত্র দেখতে চান। তারা পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে লোকজন তাদেরকে গণপিটুনির পর থানায় খবর দেন। রাতে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জাল পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন পত্রিকার নামে চারটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, আটক দু’জন গত কয়েক মাসে সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ১৫/২০ জন ব্যবসায়ীর কাছে ব্যাপক চাঁদাবাজি করে আসছে। আটক দু’জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি। তিনি বলেন, দুপুরে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।

Loading