প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পর আনন্দের জোয়ারে ভাসছে হাওরবাসী

সুস্থির সরকার সুস্থির সরকার

বিভাগীয় প্রধান ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ১:২৩ অপরাহ্ণ , সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিগত ১২ সেপ্টেম্বর হাওর পাড়ের কৃতি সন্তান ওবায়দুল হাসানকে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।

ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ থানাধীন ছয়াশী (হাটনাইয়া) গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সাবেক গণপরিষদ সদস্য যিনি বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত সংবিধানে স্বাক্ষর প্রদান করেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, খ্যাতিমান আওয়ামী রাজনীতিক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠজন মরহুম ডা: আখলাকুল হোসাইন আহমেদ। ।প্রধান বিচারপতি নিয়োগকে কেন্দ্র করে হাওর পাড়ের মানুষের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার। মিষ্ট মুখ, বিশেষ দোয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট করছেন।

ওবায়দুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিভাগে বিএসএস (অনার্স), এমএসএস এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।  ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে জেলা বারের সনদ প্রাপ্ত হন।  ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে এবং ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

ওবায়দুল হাসান ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত সহকারী এটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৯ সালের ৩০ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ৬ জুন স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।

ওবায়দুল হাসান ২০১২ সালের ২৫ মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক হিসেবে যোগ দেন। ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি ওই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ কর্মরত থাকাকালীন তার সহকর্মী বিচারকদের সাথে ১১টি মামলার রায় প্রদান করেন। ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।

দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ থানাধীন ছয়াশী প্রকাশ হাটনাইয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আখলাকুল হোসাইন আহমেদ ও মা বেগম হোসনে আরা হোসাইন। ওবায়দুল হাসানের পিতা ডাক্তার আখলাকুল হোসাইন আহমেদ ১৯৭০ সালের গণপরিষদের সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। গণপরিষদ সদস্য হিসেবে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত সংবিধানে স্বাক্ষর করেন। তার অনুজ প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ও বিমান পরিবহন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান বর্তমানে নেত্রকোনা ৪ আসনের সংসদ সদস্য।

দেশের ২৪ তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ডাক নাম শাহীন। তার স্ত্রী নাফিসা বানু বর্তমানে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ পরিচালনা পরিষদের একজন ফিন্যান্স সদস্য হিসেবে কর্মরত আছেন। তাদের সন্তান ব্যারিস্টার আহমেদ শাফকাত হাসান। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ডারহাম থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন।

ইতোমধ্যে তিনি একটি বেসরকারী টেলিভিশনে সাক্ষাতকার দিয়েছেন, তিনি বলেছেন বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন, বিচার বিভাগের উপর সরকারের কোন চাপ নেই। মামলা জট নিরসনে তিনি কাজ করে যাবেন বলে জানান তিনি।

 

Loading