শূন্য এ বুকে পাখি মোর আয় ফিরে আয় ফিরে – আয় বিভা ইন্দু

প্রকাশিত: ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ , আগস্ট ২৭, ২০২৩
জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি ——-
১৯৭৬,সনের ২৯ আগস্ট কবি ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে পরলোকে গমন করেন।
মম এক হাতে
বাঁকা বাঁশের বাঁশরী
আর হাতে রণতূর্য
বিনম্র শ্রদ্ধা জাতীয় কবির প্রয়াণ দিবসে—
হে মহান
তোমার তারুণ্য, তোমার যৌবন,তোমার দ্রোহ,তোমার প্রেম,তোমার প্রকৃতি,তোমার পূজা,তোমার আরতি সমস্তটাই আমায় আচ্ছন্ন করে রাখে—-
পরমাকাঙ্ক্ষিত সাধনার ধন তুমি। বাঙালি জাতির আধুনিক চিন্তা চেতনার উৎসমূল তুমি।
স্বাধীনতার চেতনা তুমি।মানবতার পথ প্রদর্শক তুমি।অসাম্প্রদায়িক বোধ ও চেতনার আলোকবর্তিকা তুমি।
তোমার প্রয়াণ দিবসে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
*******
মাত্র বারো বছর বয়সেই আমি তোমার লেখা গান
“শুণ্য এ বুকে পাখি মোর আয় ফিরে আয় ফিরে আয় “—
স্টেজে গাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম—
তখন শূণ্যতার বোধটুকু আমায় ততটা স্পর্শ করেনি।
কিন্তু এখন সেই শূণ্যতাই প্রতিনিয়ত আমায় আচ্ছন্ন করে রাখে—–
সব পেয়েছির দেশের একজন, আমিও তোমারই মত একদিন এই প্রেমহীন পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবো হে প্রিয় প্রেমিক—–
*****
তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু আর আমি জাগিব না
কোলাহল করি সারাদিনমান
কারো ধ্যান ভাঙিব না।
******
চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে গেল তোমায় আমি পেয়েছি বলে—-
হিন্দু মুসলমানের গালাগালিটা সত্যিই যেদিন গলাগলিতে পরিণত হবে সেদিনই বিদ্রোহের জ্বলন্ত বাষ্পের প্রতিটি স্ফুলিঙ্গ এক একটি শিশির বিন্দুতে পরিণত হয়ে মানবতাবোধের ষোলোআনা জয় ঘোষিত হবে।
“সমকালীনতা আর আধুনিকতা”!!
এদুটোর মেলবন্ধনে আরাধ্য পারমার্থিক জীবনবোধ তাঁকে উপেক্ষিত জনগোষ্ঠীর ভাগ্য নির্ধারকের ( ভগবান ) দায়িত্ব নিতে শিখিয়েছে!!!—–
ক্ষুধার্ত মানুষের ক্ষুধার যন্ত্রণা যে কী তা মনপ্রাণ দিয়ে উপলব্ধি করে লিখেছেন—-
হায় রে ভজনালয়—-
তোমার মিনারে চড়িয়া ভন্ড গাহে স্বার্থের জয়।
দুর্গতির মোড়ে দাঁড়িয়ে প্রগতির সাথে আলিঙ্গন ——
পরাধীনতার নোনাজলে আবক্ষ অবগাহনরত অবস্থায় অমৃতসায়রে পুন্যস্নান—-
এ কখনও সাধারণের কম্ম নয় —–
এমন মহাজাগতিক আলোকরাশি বহুশতাব্দী শেষে একবারই প্রজ্জ্বলিত হয়—-
তিনিই আমাদের দুখু মিয়া—–
তিনিই আমাদের মক্তব পড়ুয়া—–
তিনিই আমাদের উপাসনা ঘরে স্বশিক্ষিত ইমাম—-
তিনিই হলেন বৃটিশ পোড়ানোর
জ্বলন্ত শ্লোগান—
হে প্রেমিক “
আমি তোমার প্রেমে উন্মত্ত, পৃথিবীর “সেরা সুন্দরের”পূজায় নিমগ্ন একজন সাধারণ মানুষ।
জীবনের শেষ মূহুর্তেও যেন তোমার সৃজন তোমার আত্মানুসন্ধান, তোমার দর্শন, তোমার এই চেতনা ধারণে নিমগ্ন থাকতে পারি—-
অসম্ভব সম্ভাবনার যুগে বসে এখনও আমরা কোন এক কালো থাবার ভয়ে চিন্তার স্বাধীনতা, আত্মার স্বাধীনতা ও বুদ্ধির স্বাধীনতার অভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে যাই।।।।তোমার বাঁশিটা কী আর বাজবে না হে দ্রোহের কবি, হে প্রেমের কবি,হে সাম্যের কবি।
তোমার প্রয়াণ দিবসে তোমার সমস্ত সাহিত্যকর্ম ও চেতনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
যথার্থ ধর্মীয় চেতনার বোধে ” মানুষ”পরিচয়ই হোক সবার উৎকৃষ্ট পরিচয়।
২৭/০৮/২০২২

Loading