বোধ থাকলে বিধ্বংসী কর্মসূচিতে যাবে না বিএনপি: হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত: ৮:৩৩ অপরাহ্ণ , জুলাই ১৭, ২০২৩

সোমবার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি বলেছিল শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করবে এবং হরতাল দেবে না। কিন্ত গতকাল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন ‘সরকারের সব দফতর আমরা দখল করব এবং রাজপথেই ফয়সালা হবে’। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে, দেখা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যখন বৈঠক করেন তারা, তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত স্পষ্টত তাদেরকে বলেছেন, হরতাল, অবরোধ এগুলো গণতন্ত্রকে দুর্বল করে।

ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এনজিও ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সাক্ষতের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এরা নাগরিক সমাজের খণ্ডিত অংশ। তারা পুরো নাগরিক সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’

সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব বলে দাবি করে আসছে আওয়ামী লীগ। ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী হিরো আলম অভিযোগ করেছেন, তার এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কোনো একজন প্রার্থী বললেই তো সেটি সঠিক নয়। সেটি তদন্ত করতে হবে, নির্বাচন কমিশন সেটিকে ভেলিডেইট করতে হবে। কোনো একজন প্রার্থী যদি বলে বসে আমার এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছে, সেটি আসলে সত্য কি না, সেটি আগে যাচাই করতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু প্রার্থী দাঁড়ায় এগুলো বলার জন্য, আর প্রচার পাওয়ার জন্য। আর এগুলো বললে একটু প্রচার হয়। যেসমস্ত প্রার্থী বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে-ঘুরে প্রার্থী হয় তাদের উদ্দেশ্য কি নির্বাচিত হওয়া না কি প্রচার পাওয়া সেটি একটি বড় প্রশ্ন।’

ইইউ ও মার্কিন প্রতিনিধি দল সুষ্ঠ নির্বাচন দেখতে চায়, কোনো কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে তারা কোনো বার্তা দিয়েছে কি না, প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সাথে আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। কোনো পর্যায়ের বৈঠকে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু কিংবা নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে আলোচনা হয়নি।

তিনি বলেন, সংবিধানের আলোকে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলো প্রমাণ করে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত শক্তিশালী এবং সরকারি দলের তোয়াক্কা করে না। সরকারি দলের তোয়াক্কা যদি করত এবং সরকারকে সমীহ করত, তাহলে গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনটা বাতিল করত না।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা বলেছি, যেটি করেছে এটি আইন বহির্ভূত, তারা পুরো নির্বাচন বাতিল করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় সরকারের যেসব নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। শুধু একজন প্রার্থীকে একজন ঘুষি মেরেছে, সেটি উচিত হয়নি কিন্তু সেটিকেই বড় করে দেখানো হয়েছে।

ঢাকা-১৭ আসনে সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি কম থাকার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেকোনো দেশে যখন উপনির্বাচন হয়, সেই উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হয়। এটা আমাদের দেশেও সবসময় হয়ে আসছে। নির্বাচনের মাত্র পাঁচ মাস আগে উপনির্বাচন হলে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম হওয়াই স্বাভাবিক।’

হাছান মাহমুদ বলেন, সম্প্রতি বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সমাবেশ হলেও, কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আগামীকাল দু’দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি সহিংস হওয়ার সুযোগ নেই। যদি না বিএনপি মানুষের উপর হামলা করে।

Loading