কুবিতে সাংবাদিক ও ছাত্রলীগের উচ্চবাচ‍্যের ঘটনায় দুটি অভিযোগপত্র জমা

প্রকাশিত: ৮:৪২ অপরাহ্ণ , মে ৩০, ২০২৩

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) সাংবাদিক সমিতি ও ছাত্রলীগের একাংশের সাথে হওয়া উচ্চবাচ্যের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) প্রক্টর বরাবর দুটি অভিযোগপত্র জমা হয়েছে। এই অভিযোগপত্রের একটি হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ১৫ আবর্তনের ৩৫ জন আবাসিক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আরেকটি অভিযোগপত্র জমা হয়েছে দৈনিক যায়যায়দিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারের পক্ষ থেকে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায়দিনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রুদ্র ইকবাল ওরফে ইকবাল মনোয়ার অভিযোগপত্রে লিখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক ছাত্র (রেজা-ই-ইলাহী) ও তার অনুসারীরা আমার পেশাগত কাজে বাধা প্রদান করেছেন এবং আমাকে লাঞ্ছিত ও হেনস্তা করেছেন। একইসাথে একজন শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মীর নিরাপত্তার অধিকার ব্যহত হয় এমন কাজ করেছেন। এমতাবস্থায়, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরেই এরকম হুমকি ও হেনস্তার সম্মুখীন হয়ে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

অপরদিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের ১৫ তম আবর্তনের ৩৫ জন শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরে দেয়া অভিযোগপত্রে তারা উল্লেখ করেন, আমরা বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থীবৃন্দ। অদ্য দুপুরে আমাদের ১৫ তম আবর্তনের বন্ধু হীরাকে অযাচিত কারনে মারধর করে ইংরেজি বিভাগের কিছু শিক্ষার্থীবৃন্দ। আমরা সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে গেলে রুদ্র ইকবাল (ইকবাল মনোয়ার) নামে একজন শিক্ষার্থী সরাসরি হুমকি প্রদান করে বলে যে, আমার উপরে ইংরেজি বিভাগের কেউ কথা বলতে আসলে তাকে ক্যাম্পাস ছাড়া করা হবে। পাশাপাশি মিথ্যা সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে কোণঠাসা করার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হলের ৩১৯ নং রুমে সহপাঠীকে দেখতে গেলে প্রক্টর মহোদয় ও ইংরেজি বিভাগের প্রধানে উপস্থিতিতে আবার উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।

সর্বশেষ প্রশাসনিক ভবনের সামনে রুদ্র ইকবাল (ইকবাল মনোয়ার) তার দলবল নিয়ে আমাদের কয়েকজন সহপাঠীকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সে ও তার সহপাঠীদের নিয়ে মিথ্যা নিউজ করে দিয়ে প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলে প্রকাশ্যে থ্রেট প্রদান করে।

দুই পক্ষের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা বলেন, ‘আমরা দুটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। আমরা প্রক্টরিয়াল বডি বসে সিদ্ধান্ত নিব।’

Loading