তথ্য গোপন করে নেওয়া বন্দোবস্তীকৃত জায়গা বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

এস.এম.এ জুয়েল এস.এম.এ জুয়েল

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১০:৫৮ অপরাহ্ণ , মার্চ ৩০, ২০২৩

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন গ্রামের মুক্তিযােদ্ধা পরিবারকে হয়রানির মিথ্যা অভিযোগ দাবী করে ও আওয়ামীলীগ নেতাদের ভাবমূর্তি কুন্ন করা এবং তথ্য গোপন করে নেওয়া বন্দোবস্তীকৃত জায়গা বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১১ টায় পটিয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে একই এলাকার শফিকুল ইসলাম, দিদারুল ইসলাম, জায়দুল হক। সংবাদ সম্মেলনে আমিনুর রহমানের পুত্র মো. শেখ আহমদ সবার পক্ষে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন।
উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন গ্রামের পাঁচুরিয়া এলাকায় মরহুম মাহমুদুর রহমানের পুত্র মোহাম্মদ ইদ্রিস সরকারি চুক্তি ভঙ্গ করে ভূমিহীন কোটায় কৃষি জমি বন্দোবস্তী নিয়ে বানিজ্যিক দোকান নির্মাণ করে। চুক্তিনামায় ভাড়ায় লাগিয়ত করা হয়েছে।
সূএে জানা য়ায় সরকারি ৭ শতক খাস জায়গা মোহাম্মদ ইদ্রিসের পিতা মাহমুদুর রহমান এক বছরের জন্য লীজ নেয়। পরবর্তীতে তার পিতা মারা যাওয়ার পর মোহাম্মদ ইদ্রিস অঙ্গীকারনামা ও নাদাবি মুলে একই এলাকার শেখ আহমদসহ ৪জনের কাছে সাড়ে ৪ গন্ডা জায়গা দখল হস্তান্তর করেন। আবার একই জায়গা ২০১০ সালে মোহাম্মদ ইদ্রিস ভুমিহীন দাবি করে তথ্য গোপন করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে বন্দোবস্তী নেন । অথচ এর আগে ২০০৫ সালে ইদ্রিস অঙ্গীকারনামা ও ২০০৬ সালে নাদাবি দিয়ে ওই জায়গা দখল হস্তান্তর করেন। তাছাড়া কৃষি জমির তথ্য গোপন করে বন্দোবস্তী নেওয়ার ঘটনায় তৎকালীন পটিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজিব হোসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে গত ২০২২ সালের ১৩ মার্চ একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে বন্দোবস্তী নীতিমালার ৮,১৩ ও ২১নং শর্ত সমূহ ভঙ্গ করা হয়েছে বলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানান। বর্তমানে ওই জায়গায় সেমিপাকা ১০টি দোকান রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শেখ আহমদ আরো জানিয়েছেন, সরকার ও তাদের সঙ্গে প্রতারনা করে মোহাম্মদ ইদ্রিস গোপনে ২২৮৭, ২২৮৮ দাগের ৭ শতক সরকারি জায়গা বন্দোবস্তী নেন। তথ্য গোপন ও সরকারি চুক্তি ভঙ্গ করায় বন্দোবস্তী বাতিল চেয়ে একই এলাকার মোহাম্মদ জসিম চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন।

Loading