যশোরের শার্শায় পরিচর্যা খরচ ও রোগবালাই কম হওয়ায় ভুট্রা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

প্রকাশিত: ৬:০৯ অপরাহ্ণ , মার্চ ২৩, ২০২৩

যশোরের শার্শা উপজেলার চাষীরা ভূট্রা চাষে কম খরচ ও পরিশ্রম হওয়াতে আগ্রহী বাড়াচ্ছে। গত কয়েক বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে চলতি বছরে। অন্যদিকে বাম্পার ফলনের আশা দেখছেন চাষীরা। এবার চমক জাতের ভুট্রা বেশি চাষ করা হয়েছে। অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় শার্শা সদর ইউনিয়নে ভূট্রার আবাদ বেশি হয়েছে।

উপজেলার ছোট নিজামপুর গ্রামের ভুট্রা চাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে ভুট্রা চাষ করেছি। প্রতিটি গাছে ফলন ভাল হয়েছে। এবছর ফলন ভালো পেলে আগামীতে পাঁচ বিঘা জমিতে ভূট্রা চাষ করার ইচ্ছে আছে।’

কেরালখালী এলাকার চাষী বাবু জানান, ‘আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাত সম্প্রসারণ, সুষমসার ব্যবস্থাপনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দেড় বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল চমক জাতের ভূট্রা চাষ করেছি। উপজেলা থেকে সার্বিক সহযোগিতায় গত বছরের থেকে চলতি বছরে ব্যাপক লাভের আশা দেখছি।’

উপজেলার বাসাবাড়ি এলাকার ভুট্রা চাষি কবির বলেন, দুই একর জমিতে ভুট্রা চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা। ফলনও অনেক ভাল হয়েছে।

শার্শা সদর এলাকার সূবর্ণখালী এলাকার চাষী নুর নবী বলেন, ‘গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার সবকিছুর খরচ বৃদ্ধি (সার / সেচ)। তবে গতবার ভাইরাসের কারণে অনেক ভূট্রা গাছের ক্ষতি হয়েছিল। আশা করছি এই বছর সবমিলিয়ে খরচ বেশি হলেও লাভবানও বেশি হবেন’।

উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অসিত কুমার মন্ডল বলেন, গত বছরের তুলনায় উপজেলার অন্যান্য এলাকার মতো নিজামপুর ইউনিয়নে ব্যাপক হারে ভূট্রার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর ১২ হেক্টর জমিতে ভূট্রার চাষ হলেও এবার তা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে ভূট্রার চাষ হয়েছে। আর কম পরিচর্যায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় কৃষকও লাভবান হয়ে ভুট্রা চাষে ঝুঁকছে বলে জানান তিনি।

শার্শা উপজেলার কৃষি অফিসার প্রতাপ মন্ডল বলেন, অনুকূল আবহাওয়া, কম খরচে অধিক ফলন, অন্য ফসলের চেয়ে পরিচর্যা খরচ ও রোগবালাই কম হওয়ায় ভুট্রা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।

তিনি জানান, ভুট্রা চাষে কৃষকদের সহায়তা অব্যাহত থাকায় আগের চেয়ে উৎপাদনও বেড়েছে। গত বছর উপজেলায় ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা নিয়ে মাত্র ৯০ হেক্টর জমিতে ভুট্রা চাষ হয়েছিল। এ বছর চাষ হয়েছে ২৪০ হেক্টর জমিতে৷

Loading