পটিয়ায় গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য হত্যা

এস.এম.এ জুয়েল এস.এম.এ জুয়েল

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১০:১৫ অপরাহ্ণ , ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গবিন্দারখীল গ্রামের ওয়াহিদুল আলম (৪২) সাথে ২০০৭ সালে ৩ নং ওয়ার্ডের হাইদগাঁও গ্রামের বেবী আকতার (৩৬) বিয়ে হয়। তাদের দুই ছেলে সন্তান রয়েছে।
বেবী আক্তারের ভাই খারশেদ আলম বলেন। বিবাহের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুক দাবী করে আমার বোনকে শারারিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। আমরা যতটুকু সম্ভব আমার বোনের সুখের কথা চিন্তা করে তাদেরকে আর্থিক সহযাগিতা করতাম। গত ২০২১ সালে ওয়াহিদুল আলম বিদেশ যাওয়ার সময় আমার বােনের নিকট হতে যৌতুক হিসাবে বিদেশে যাওয়ার টাকা দাবী করে। থাকে বিদেশের খরচ না দিলে সে আমার বোনকে তালাক দিবে মর্মে বলে আমাদের বাড়ীতে এসে হুমকী-ধমকি দিয়া চালে যায়। আমার বােন, ভাগিনা, তাদের সংসারের বিষয় চিন্তা করে আমরা নিরুপায় হয়ে তাকে বিদেশ যাওয়ার জন্য যৌতুক হিসাবে বিভিন্ন সময়ে সর্বমােট এক লক্ষ আশি হাজার টাকা প্রদান করি। সে উক্ত টাকা নিয়া ২০২১ সালে কাতার যায়। বিদেশ যাওয়ার পর সে আমার বোনকে তার সংসারের খরচ বাবদ কোনো টাকা-পয়সা দেয় নাই ।সে গত ডিসেম্বর’ ২০২২ সালের শেষের দিকে বিদেশ থেকে বাড়ীতে চলে আসে বাড়ীতে আসার পর থেকে পুনরায় আমার বােনকে যৌতুকের দাবীতে বিভিন্ন সময় মারধর করে। সর্বশেষ ইং ০৬/০২/২০২৩ তারিখ দুপুর অনুমান ০২:৩০ ঘটিকার সময় ওয়াহিদুল আলমের ঘরে ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের দাবীতে হত্যার উদ্দেশ্যে এলােপাথারী মারধর করে মাটিতে শুয়ে ফেলে অতঃপর ওয়াহিদুল আলমতার পেট, বুক, মাথা ও শরীরের স্পর্ণকাতরস্থানে পায়ের গোড়ালি দিয়া আঘাত করতে থাকে। তখন আমার বােনের শোর-চিত্কারে তথন আশপাশের লােকজন আগাইয়া আসে। আমার বোনের মুমূর্ষু অবস্থার সংবাদে তার বাড়ীর আশপাশের লোকজন হতে জানতে পেরে
সাথে সাথে আমার বােনের বাড়ীতে যাই। আমার বোনকে মাটিতে পড়া আবস্থায় দেখতে পাই। তথন অটোরিক্সা যোগে আমার বােনকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া আসি। প্রাথমিক চিকিংসার পর আমার বােনকে আমার বাড়ীতে নিয়া আসি, আমার বোন তথন একটু একটু কথা বলতে পারে । ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ আমার বোন ও আশপাশের লােকজনের নিকট থেকে জানতে পারি। অতঃপর  ০৭/০২/২০২৩ ইং তারিখ তার অবস্থার আরাে অবনতি দেখে তাকে পুনরায় পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে নিয়ে গেলে সাথে সাথে আমার বোনের শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক দেখতে পেয়ে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে রেফার্ড করেন আমার বােনকে ১১/০২/২০২৩ ইং তারিখ রাত ১০:৩০ ঘটিকার সময় চমেক ভর্তি করানাে হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার বােন ১২/০২/২০২৩ ইং তারিখ দিবাগত রাতে মৃত্যু হয়ে।পরবর্তীতে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ আমার বোনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।
উক্ত ঘটনায় বেবী আক্তারের ভাই খোরশেদে আলম (২৫)বাদী হয়ে ,ওয়াহিদুল আলমসহ, ৫ জনকে আসামী করে পটিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেন।
পটিয়া থানার ওসি তদন্ত রাশেদুল ইসলাম
বলেন উক্ত ঘটনায় এজাহার নামীয় ৩ নং আসামী নিহতের দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য তৎপর রয়েছে পটিয়া থানা পুলিশ।

Loading