জেগে ওঠো ধোবাউড়াবাসি: টেক্সাস, আমেরিকা থেকে মানকিন রনি

প্রকাশিত: ৭:১৩ অপরাহ্ণ , জুলাই ১১, ২০২০

স্বাধীনতার ৪৯ বছরে উপজেলার চিত্র খুবই বেদনাদায়ক । এটমের আঘাতে জাপানের হিরোশিমা নাগাসাকি ধ্বংসের লীলা আমরা সবাই জানি । মৃত্তিকা হয়েছিল নিস্তেজ হাজারো মানুষ হয়েছিল পঙ্গু । সে মানুষগুলি সম্পদে পরিণত না হয়ে একটি দেশের বোঝা হিসেবে যুগ যুগ উন্নয়নের অন্তরায় হিসেবে সামনে দাঁড়িয়েছিল । রাজনীতিবিদ ও নেতাদের আচরণে নিজ সন্তানদের জীবন প্রতিকূল অবস্থানে । চোখে দেখা হাজারো কিশোর যুবক তাদের স্বপ্নবিহীন ছুটে চলা অন্ধকার ভবিষ্যতের কথাই চেষ্টা করছি বলার জন্যে । সকলেই নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছি । চেয়ারে বসে ক্ষমতাধর মানুষ স্বভাবতই স্বপ্ন দেখেন দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার জন্যে l স্বপ্ন দেখা বা থাকা ব্যক্তির অধিকার । অধিকার আদায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতে পারে তাই বলে প্রতিদ্বন্দ্বী শত্রু হতে পারেনা l মত-ঐক্যের বাইরে অনুসারীর একদল ঘনিষ্ঠ হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল । সোহাগে বলেছি আমাকে বলেছো আর কাউকে বলতে যেওনা । যদি ভাবতাম নিজের পাল্লা ভারী করবো । তবে হারাতাম নৈতিক আদর্শ ও ব্যক্তিত্ব । রাজনীতির চর্চা করি কিন্তু ক্ষমতার লোভে বিবেক ও আদর্শ বিসর্জন দিতে পারিনা । বুদ্ধের ভাষ্যে যুক্তি আছে ধর্ম পরিবর্তন করে সমাজ পাওয়া যায় । কিন্তু মানুষ হিসেবে বিবেকের কাছে নিজেরা কখনোই প্রশ্ন করিনা আদর্শ ও গুণগত মান কি সঠিক পাওয়া যায় । ধর্মে বিশ্বাসী মানুষ আর সম্প্রীতিতে ভরা নিজ জন্মভূমি । সে জন্মভূমির বুকে এক অনন্য অংশবিশেষ উপজেলা ধোবাউড়া । পাহাড়ি জনপদ ও গা ঘেঁষা ভারতের উঁচু নিচু পাহাড় । ঠিক যেন পাহাড়ের ঢেউ ভ্রমণ পিয়াসীদের জন্যে । রাস্তা আছে -সুরকি নেই ,বাড়ির সামনে পিলার আছে-কারেন্ট নেই । নিজ নামের পিছনে মানকিন আছে কিন্তু আমাদের প্রভাব নেই l যাঁদের আছে তাতে দুঃখও নেই । ভূপেন হাজারিকার গানটি শুনে বিভিন্ন আঙ্গিকে ভাবার চেষ্টা করি । পাওয়া না পাওয়ার ফলাফলে ধোবাউড়ারাবাসী সবসময় পিছিয়ে । ভেবে শুধু প্রিয় শিল্পীর গান শুনে মনকে বুঝানোর চেষ্টা করি – আমি দেখেছি অনেক গগনচুম্বী অট্টালিকার সারি/তার ছায়াতেই দেখেছি অনেক গৃহহীন নরনারী/আমি দেখেছি অনেক গোলাপ-বকুল, ফুটে আছে থরে থরে/আবার দেখেছি না ফোটা ফুলের কলিরা, ঝরে গেছে অনাদরে । বিবেকের তাড়নায় প্রজন্মদের দেউলিয়া,শিক্ষিত সমাজ ও আপামর জনগোষ্ঠীর কষ্ট শুধু তুলে ধরলাম । আর আহ্বান রাখছি জেগে ওঠো ধোবাউড়াবাসী ।

Loading