অপহৃত আটজনকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি

প্রকাশিত: ৬:৪২ অপরাহ্ণ , ডিসেম্বর ২১, ২০২২

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে অপহৃত ৮ বাংলাদেশিকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি। ৪৮ ঘণ্টায়ও তারা উদ্ধার হওয়ায় স্বজনরা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন। বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরার পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহৃত ওই আটজনের মধ্যে জেলে ছাড়াও রয়েছেন কলেজছাত্র।

গত ১৮ ডিসেম্বর রোববার বিকালে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার একটি পাহাড়ের ভেতর খালে মাছ ধরতে গেলে অস্ত্রধারী একদল অপহরণকারী স্হানীয় এক কলেজ শিক্ষার্থীসহ আট তরুণ-যুবককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আটজনই এক গ্রামের এবং তারা পরস্পর নিকট আত্বীয়। অপহৃতদের মধ্যে আবছার উদ্দীন কক্সবাজার কলেজের শিক্ষার্থী।

অপহরণকারীরা অপহৃতদের স্বজনদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে মোটা অংকের টাকার মুক্তিপণ দাবি করে।

অপহরণের শিকার আট জন হলেন আবছার উদ্দিন (২২), নুরুল মোস্তাফা (৩৪), করিমুল্লাহ (২০) নুর মোহাম্মদ (২৪), মোহাম্মদ উল্লাহ (৩৮), সেলিম উল্লাহ (৩২), রিদুওয়ান (১৮) ও নুরুল হক (৫২)।

অপহৃত করিম উল্লাহ ও নুরুল মোস্তফার বড় ভাই মোহাম্মদ আলী বুধবার বলেন, ‘অপহরণকারীরা প্রথমে জনপ্রতি তিন লাখের বেশি মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল। কিন্তু অপহৃতেরা অসহায় ও গরীব হওয়ায় মুক্তিপণের দাবি পূরণ করা সম্ভব হচ্ছেনা। সর্বশেষ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে আমার দুই ভাইকে মুক্তি দেওয়ার শর্ত হিসাবে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। এর পর থেকে অপহরণকারীরা যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে আমরা ভীষণ ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে আছি, কোন সময় আবার কোনো অঘটন ঘটে কিনা তার জন্য দুশ্চিন্তায় আছি। আমাদের চোখে ঘুম নেই।’

বাহার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, আটজনকে অপহরণ করেছে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এখনো তাদের কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এর আগে ও বিভিন্ন সময় অপহরণের শিকার হয়েছে স্হানীয় লোকজন। কেউ কেউ মুক্তিপণ আদায় করে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসে।

টেকনাফ থানার আওতাধীন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মশিউর রহমান বুধবার দুপুরে বলেন, অপহরণের পর থেকে পুলিশ বিরতিহীনভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। এখনও পাহাড়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাহাড়ে অভিযান ড্রোন ব্যবহার হলেও এখনও কেউ উদ্ধার হয়নি।

এ ঘটনায় অপহৃত করিমুল্লাহর ভাই মোহাম্মদ হাবীব বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ওসি মো. আবদুল হালিম।

Loading