গরু চুরির অভিযোগে সাভারে ছাত্রলীগের এক নেত্রী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ৬:৫২ অপরাহ্ণ , নভেম্বর ২, ২০২২

ঢাকার ধামরাইয়ে কয়েকটি এলাকায় গরু চুরির অভিযোগে বাবলী আক্তার নামে ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে সাভার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২ নভেম্বর) ভোর রাতে সাভার পৌর এলাকার নয়াবাড়ি মহল্লায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে ধামরাই থানা পুলিশ।

গ্রেফতার বাবলী ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ও সাভার সরকারি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি নয়াবাড়ি এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ধামরাইয়ের কয়েকটি গরু চুরির মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেত্রী বাবলী আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। একাধিক চোরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তার নাম আসে। তারা জানান, চুরি করা গরু রাখা হতো ওই নেত্রীর হেফাজতে। পরে সেখান থেকে বিক্রি করা হতো। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বুধবার ভোরে সাভারের নয়াবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মূলত বাবলী তার বন্ধু শামিমের মাধ্যমে গরু চোরদের সঙ্গে পরিচয় ঘটে। এরপর থেকে চোরাইকৃত গরু বাবলী তার বাড়িতে নিজের হেফাজতে রেখে গরুগুলো বিক্রি করতেন। এ পর্যন্ত পাঁচটি গরু তার হেফাজতে রেখে বিক্রি করা হয়েছে। সর্বশেষ একটি ষাড় গরু জবাই করে কশাইয়ের কাছে মাংস বিক্রি করেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তিনি।

গরু চুরির ঘটনায় বাবলীর সম্পৃক্ততার বিষয়ে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন, বাবলী আক্তার ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা। অনৈতিক কাজে জড়িত থাকায় কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ জানিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পত্র দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া তাকে উক্ত পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ধামরাইয়ে গরু চুরির পর সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় ওই নেত্রীর বাড়িতে রেখে বিক্রি করা হতো। গরু চুরির ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার দায়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের লাড়ুয়াকুণ্ড গ্রামের আবদুল লতিফের একটি ষাড় ও একটি গাভি চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। এ সময় জনতার হাতে আটক হন বরিশালের মুলাদি থানার গলইভাঙ্গা গ্রামের কদম আলী সরদারের ছেলে হাবুল সরদার। এ ঘটনায় গরুর মালিক আবদুল লতিফ মামলাকরেন। এর আগে গত এক সপ্তাহে ধামরাইয়ের বিভিন্ন গ্রাম থেকে অন্তত ২০টি গরু চুরি হয়ে গেছে।

Loading