৭ জঙ্গি ও তিন কেএনএফ সদস্যকে কারাগারে প্রেরণ

প্রকাশিত: ৮:৫২ পূর্বাহ্ণ , অক্টোবর ২২, ২০২২

রাঙ্গমাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার সাত জঙ্গি ও তিন কুকি-চিনের সদস্যকে রাঙ্গামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তারের আদালতে হাজির করা হলে তিনি এ নির্দেশ দেন।

আদালত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, সাত জঙ্গি ও তিন কুকি-চিনের সদস্যকে রাঙ্গামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আজকে রিমান্ড চাওয়া হয়নি। দু-এক দিন পর আবারও আদালতে হাজির করে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে।

এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি জেলার মিয়ানমার সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে র‌্যাবের অভিযানে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়া’ ও কুকি-চিন ন্যাশনাল পার্টির (কেএনএফ) সদস্যদের গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার সকালে বান্দরবানে সদরে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীকালে বিকেলে তাদেরকে র‌্যাব ও পুলিশের প্রহরায় রাঙ্গামাটিতে আনা হয়। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় তাদেরকে আদালতে তোলা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, সাত জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তিনজনকে গ্রেপ্তার অভিযানে র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-১৫-এর সহস্রাধিক সদস্য অংশ নেয়। এ সময় তাদের অভিযানে আটককৃতরা হলো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য সৈয়দ মারুফ আহমদ মানিক (৩১), ইমরান হোসাইন শাওন (৩১), কাওসার (৪৬), জাহাঙ্গীর আহম্মেদ (২৭), মো. ইব্রাহিম (১৯), আবুবক্কর সিদ্দীক বাপ্পী (২৩), পলক মিয়া (২৬) এবং পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফ’র সদস্য জৌখান স্যাং বম (১৯), স্টিফেন বম (১৯), মাল সম বম (২০)।

অভিযানকালে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে ৯টি বন্দুক, বন্দুকের ৫০ রাউন্ড গুলি, কার্তুজ কেইস ৬২টি, হাত বোমা ছয়টি, কার্তুজ কেইস একটি, কার্তুজ বেল্ট দুটি, দেশীয় পিস্তল একটি, ওয়াকিটকি সেট একটি, চার্জার তিনটি, কুকিচিং লিখা ১০টি মানচিত্র এবং অস্ত্র গোলা বারুদ তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

Loading