এবার দুর্গাপূজা ৩২১৬৮ মণ্ডপে

প্রকাশিত: ৮:৪০ অপরাহ্ণ , সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২

এবছর সারাদেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি পূজামণ্ডপে উদযাপন করা হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। গত বছরের চেয়ে এবার ৫০টি মণ্ডপ বেশি।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক এ কথা জানান।

তিনি বলেন, “গত বছরের সহিংসতার কথা মাথায় রেখে এ বছর সরকার চাচ্ছে কোনও অবস্থাতেই যেন কোনও অঘটন না ঘটে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি সক্রিয়। আমরা মনে করি, আমাদের ৩২ হাজার ১৬৮টি মন্দির সুরক্ষা দেওয়া খুব কঠিন। তাই আমরা এবছর প্রত্যেক মন্দিরে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করছি, যারা রাতেও পাহারা দেবে।

“আমরা সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ একথা বলা যাবে না। নাশকতার ঘটনা ঘটতে পারে, তবে আমরা এবার খুব সচেতন। সর্বোচ্চ সিসিটিভির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গ্রামে বিভিন্ন বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে সেই মন্দিরগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ যেগুলো অস্থায়ী মন্দির।”

পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার লিখিত বক্তব্যে জানান, গত বছর সারাদেশে দুর্গাপূজার সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ১১৮টি। এবার এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ১৬৮টি। যা গত বছরের চাইতে ৫০টি বেশি। ঢাকা মহানগরে পূজার সংখ্যা ২৪১টি, যা গত বছরের থেকে ৬টি বেশি।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসার পর প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ও শুভানুধ্যায়ীদের অনুদান নিঃসন্দেহে পূজার সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে বলা যায়। তবে এর সঙ্গে পূজাকেন্দ্রিক নিরাপত্তার বিষয়টিও সবাইকে বিবেচনায় নেওয়া দরকার।

মতবিনিময় সভায় তিনটি বিষয়ের প্রতি সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানানো হয়। সেগুলো হচ্ছে- দুর্গাপূজা চলাকালীন সময়ে কোনও ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি না দেওয়া; দুর্গাপূজাসহ অন্যান্য প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় স্কুল, কলেজ, পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে বিভিন্ন বিভাগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না করা; দুর্গাপূজাসহ অন্যান্য প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না করা।

Loading