চীন ও অন্যান্য দেশকে সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধের মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া

প্রকাশিত: ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ , সেপ্টেম্বর ২, ২০২২

রাশিয়া বৃহস্পতিবার চীন ও অন্যান্য দেশের বাহিনীর সাথে মিলে সপ্তাহব্যাপী এক যুদ্ধমহড়া আরম্ভ করেছে। রাশিয়া ও চীন, উভয় দেশই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে নিজেদের মধ্যকার প্রতিরক্ষা সহযোগিতার এক প্রদর্শনী হিসেবে এমন মহড়া আয়োজন করেছে।

এই মহড়াগুলির আরেকটি উদ্দেশ্য এটি প্রদর্শন করা যে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে জড়িত থাকা সত্ত্বেও ব্যাপক পরিসরের মহড়া আয়োজনের মত রাশিয়ার যথেষ্ট সামরিক শক্তি রয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায় যে, ভস্টক ২০২২ (পূর্ব ২০২২) মহড়াটি ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। মহড়াটি রাশিয়ার দূরপ্রাচ্য ও জাপান সাগরের সাতটি স্থানে অনুষ্ঠিত হবে এবং সেটিতে ৫০,০০০ এরও বেশি সৈন্য ও ৫,০০০ এরও বেশি সমরাস্ত্র ইউনিট অংশগ্রহণ করবে, যার মধ্যে ১৪০টি বিমান ও ৬০টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

রাশিয়ার জেনারেল স্টাফের প্রধান, জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ নিজেই মহড়াটি তত্ত্ববধান করবেন। মহড়াটিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি সাবেক দেশের সৈন্যরা অংশগ্রহণ করবে। এছাড়াও মহড়ায় অংশগ্রহণকারী আরও দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন, ভারত, লাওস, মঙ্গোলিয়া, নিকারাগুয়া এবং সিরিয়া।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক উল্লেখ করে যে, মহড়ার অংশ হিসেবে রুশ ও চীনা নৌবাহিনী জাপান সাগরে “নৌ-যোগাযোগ রক্ষা, সামুদ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্র রক্ষা এবং উপকূলীয় এলাকায় সেনাদের সমর্থন করতে যৌথ কার্যকলাপ অনুশীলন করবে”।

মহড়াগুলো রাশিয়া ও চীনের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সম্পর্কটিকে প্রদর্শন করে, যেই সম্পর্ক ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার সৈন্য পাঠানোর পর থেকে আরও জোরদার হয়েছে। চীন স্পষ্টভাবেই রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাতে অস্বীকার করেছে। তারা রাশিয়াকে উস্কে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও নেটোকে দায়ী করেছে, এবং রাশিয়ার উপর আরোপিত শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। এর প্রতিদানে রাশিয়াও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের চলমান উত্তেজনায় চীনের প্রতি জোরালো সমর্থন জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সাম্প্রতিক তাইওয়ান সফরের পর দুই দেশের মধ্যে এমন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও পেলোসির তাইওয়ান সফরের মধ্যে পুতিন সামঞ্জস্য টেনেছেন। তিনি এই দুইটিকেই বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা উসকে দেওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।

সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা

Loading