গণভবনে উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনা

উজবেকিস্তানে যৌথ উদ্যোগে সার কারখানা করতে চাই

প্রকাশিত: ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ , জুলাই ৩০, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক সুবিধার জন্য উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে উজবেকিস্তানে সার কারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী এবং উজবেকিস্তান বাংলাদেশে তার দূতাবাস স্থাপনের আশা করছে।

বিনিয়োগ ও বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং উজবেকিস্তান প্রজাতন্ত্রের বিনিয়োগ ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী জামশিদ আবদুরাখিমোভিচ খোদজায়েভ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারী বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সাক্ষাতকালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ সব দেশের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে এবং জনগণ এর জন্য ভুক্তভোগী হচ্ছে। বিশ্ব সঙ্কটের মধ্যে বাংলাদেশ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তান উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র অন্বেষণ করতে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। বাংলাদেশের তরুণ ও প্রাণবন্ত জনশক্তিকে পুঁজি করে সারাদেশে ১শ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৩ সালে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ সফরের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, সেই সফর দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছে এবং বছরের পর বছর তা আরও শক্তিশালী হয়েছে। তিনি বলেন, স্থানীয় বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি করার জন্য বাংলাদেশ কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উন্নয়নের ওপর জোর দিচ্ছে।

উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘমেয়াদী বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে আরও জোরদার করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের একজন সম্ভাবনাময় অংশীদার এবং আমরা এটিকে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে রূপান্তর করতে চাই। তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।

জামশিদ আবদুরাখিমোভিচ খোদজায়েভ বলেন, উজবেকিস্তান সিআইএস (কমনওয়েলথ ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেটস) দেশগুলোর একটি ভাল কেন্দ্র কারণ এখানে ব্যবসা বিকাশের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি ফার্মাসিউটিক্যালস ও আইসিটি খাতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

সফররত উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং কৃষি খাতের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, তারা ঢাকায় উজবেকিস্তান দূতাবাস স্থাপনের আশা করছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

জামশিদ আবদুরাখিমোভিচ খোদজায়েভ শেখ হাসিনাকে উজবেক প্রেসিডেন্ট শাভকাত মির্জিওয়েভের শুভেচ্ছা জানান। শেখ হাসিনা উজবেক প্রেসিডেন্ট শাভকাত মির্জিয়েভকেও শুভেচ্ছা জানান এবং তাকে তার সুবিধামতো সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। বৈঠকে, উভয় পক্ষ দ্বৈত কর এড়ানোর জন্য কাজ করতে সম্মত হয়েছে।

এ সময় উজবেকের বিনিয়োগ ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী লাজিজ কুদ্রাতভ এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন বিষয়ক উপমন্ত্রী জাসুরবেক চোরিয়েভ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। – জনকন্ঠ

Loading