নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লাখো মানুষের ঢল

প্রকাশিত: ১:০৪ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ২৯, ২০২২

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ দেখা গেছে। ভোর থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাট এলাকায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। অতিরিক্ত যাত্রী ও মোটরসাইকেলের চাপে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে শিমুলিয়া ফেরি ঘাট এলাকা। শুক্রবার ভোর রাত সাহরীর পর থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে ও মটরসাইকেলে চড়ে যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাটে এসে উপস্থিত হতে শুধু করেন। অতিরিক্ত চাপে ঘাট এলাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।

আজ শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকেই দেশের বিভিন স্থান থেকে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে করে গন্তব্যে পৌঁছাতে শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় এসে জড়ো হয় ঘরমুখো যাত্রীরা। এ সময় ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য প্রায় তিন শতাধিক যানবাহন ও দুই শতাধিক মটরসাইকেলকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

এদিক ফেরিতে গণপরিবহন পারাপার বন্ধ থাকায় লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। যাত্রীরা বিভিন্ন ছোট-বড় যানবাহন মাটরসাইকেল করে শিমুলিয়াঘাটে আসে, পরিবহনে অতিরিক্ত চাপে অনেকে ভোগান্তির শিকার হন। নৌরুপথে ১৫৫টি স্পিডবোট ও ৮৫টি লঞ্চ চলাচল করছে। ফেরির সংখ্যা কম থাকায় লঞ্চেই বেশি সংখ্যক যাত্রীপার হচ্ছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্পোরেশন বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল বলেন, সকাল থেকে ৪শতাধিক যানবাহন ও কয়েক শতাধিক মটরসাইকেল পার হয়েছে। বর্তমানে মোট ১০টি ফেরি পারাপারে কাজ করছে। বাংলাবাজার নৌরুটে সাতটি ও মাঝিরকান্দি নৌরুটে তিনটি ফেরি চলাচল করছে। গতকাল বাংলাবাজার নৌরুটে একটি ফেরি বাড়ানো হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ফেরিঘাটে যানবাহনের পাশাপাশি মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে। তারা ফেরির জন্য অপেক্ষা না করে লঞ্চ ও স্পিডবোটে নদী পার হচ্ছেন। ভোর থেকে ১৫৫টি স্পিডবোট ও ৮৫টি লঞ্চ চলাচল করছে।

Loading