ট্রেনে ঈদযাত্রার মানুষের চাপ

প্রকাশিত: ১২:৪২ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ২৮, ২০২২

আসন্ন ঈদুল ফিতর ঘিরে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন রাজধানীবাসী। আর এ আনন্দঘন ঈদযাত্রায় প্রতিবারের মতো এবারও সবচেয়ে বেশি চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে রেলপথে।

বৃহস্পতিবার ছিল ট্রেনে ঈদযাত্রার তৃতীয় দিন। প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের মতো তৃতীয় দিন সকালেও রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উদ্দেশ্যে ট্রেন ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।

প্রথম দিন ট্রেন ছাড়ায় বিলম্ব হওয়ার বিষয়ে ঈদযাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও আজ তেমনটি দেখা যায়নি। তবে যাত্রীদের অভিযোগ রয়েছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ঈদে ট্রেনের আগাম টিকিট পাচ্ছেন না তারা।

ঈদযাত্রার গতকাল বুধবার ভোর ৬টায় রাজশাহীগামী ধূমকেতু ট্রেনের মাধ্যমে ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা বিলম্ব হওয়ায় পরের ট্রেন সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ৬টা ২০ মিনিটে ঈদযাত্রা শুরু হয়। আজও ভোর থেকেই যাত্রীসাধারণের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে পুরো স্টেশন এলাকা।

সরেজমিন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, এদিন নিজ নিজ গন্তব্যের ট্রেন ধরতে সেহরি খেয়েই অনেকে চলে এসেছেন স্টেশনে। তারা জানান, সেহরির পর ঘুমিয়ে গেলে আর ট্রেন ধরতে পারবেন না। এ জন্য আগভাগেই স্টেশন এলাকাতে চলে এসেছেন।

আগত এসব যাত্রীর অনেকেই ভ্যাপসা গরম থেকে বাঁচতে সঙ্গে এনেছেন হাতপাখা। এবারের ঈদযাত্রায় প্রতিদিন ৫৩ হাজার যাত্রী ট্রেনে রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে শুধু আন্তঃনগর ট্রেনে আসন থাকবে ২৭ হাজারের বেশি।

ফয়সাল বলেন, ২৪ ঘণ্টার অপেক্ষার পর টিকিট মিলেছে। এখন যদি ট্রেন মিস হয় তা হলে আর বাড়ি যাওয়া হবে না। তাই আগেই স্টেশনে এসেছি, ঘুম এলে এখানে বসে বসে ঘুমাব, কিন্তু ট্রেন মিস হলে চলবে না।

একই কথা জানান রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী রফিক। তার যাত্রার সময় দেওয়া আছে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে। তিনি বলেন, গতকাল গণমাধ্যমে দেখেছি ট্রেনের বিলম্ব। তবু আগেই স্টেশনে এলাম, এখানে পৌঁছানোর পর ট্রেন যখনই আসবে উঠতে পারব। আর বাসায় থাকলে ঘুমিয়ে পড়ব তখন হয়তো উঠতে পারব না। বাড়ি যেতে না পারলে তো ঈদ আনন্দই মাটি হয়ে যাবে।

ঈদযাত্রা শেষে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ মে। এবারের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ২৩ এপ্রিল থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। রোববার (২৪ এপ্রিল) থেকে ২৮ এপ্রিলের টিকিট দেওয়া হয়, ২৫ এপ্রিল দেওয়া হয় ২৯ এপ্রিলের টিকিট, ২৬ এপ্রিল ৩০ এপ্রিলের টিকিট আর ২৭ এপ্রিল দেওয়া হয় ১ মের টিকিট।

Loading