ক্যান্সার আক্রান্ত মাকে বাঁচাতে চান রাবি শিক্ষার্থী

শামীম রেজা শামীম রেজা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: ১:০১ পূর্বাহ্ণ , মার্চ ২৬, ২০২২

বলা হয়ে থাকে, মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। প্রতিটি সন্তানের কাছেই তার মা অমূল্য রত্ন। মায়ের ভালোবাসায় সন্তান তার জীবনকে উৎসর্গ করতেও পিছ পা হয় না। সে মা যখন অসুস্থ হন, সন্তানের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে।

মা হেলানা খাতুনের (৫৫) স্বপ্ন ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষে সরকারি চাকরি করবে। অভাবের সংসারে হাল ধরবে। সেই স্বপ্ন হয়তো ছেলে বাস্তবায়ন করতে পারবে। তবে ছেলের সাফল্য মা দেখে যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সঙ্কিত ছেলে। কেননা মা যে জটিল রোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত। টাকার অভাবে কোনো রকম হেমিওপ্যাথি চিকিৎসা চালাচ্ছেন সন্তানেরা। উন্নত চিকিৎসায় মাকে বাঁচাতে প্রয়োজন প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। তাই হৃদয়বান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

বলছিলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মার্স্টাসের শিক্ষার্থী আল-আমিন ও তার মায়ের কথা। আল-আমিনের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া থানার কমলাপুর গ্রামে। ১২ জনের সংসারে কৃষক বাবা বয়সের ভারে আর কাজ করতে পারেন না। বড় বিয়ে করেছেন তারও দুই মেয়ে, তিনি কোনো রকম একটা স্টুডিওর দোকান নিয়ে বসেছে। ছোট ভাই বিয়ে করে গার্মেন্টসে চাকরি করে। ছোট দুই বোন কলেজে পড়াশোনা করে। একটা দোকানের ওপর কোনো রকমে টিকে আছে সংসার। তাই উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না সন্তানেরা।

আল-আমিন বলেন, ‘গত দু’বছর যাবত ধরেই আম্মার পেটে ব্যথা অনুভব করেন। তাই পেটে ব্যথার স্বাভাবিক চিকিৎসাই নিয়েছিলো। কিন্তু গত দু’মাস আগে হঠাৎ করেই অসহনীয় ব্যথা,বমি, আর ক্ষণেক্ষণে মুর্ছা যেতে শুরু করে। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়। ময়মনসিংহ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনকোলজিস্ট ডাঃ আমিনুল ইসলাম তত্ত¡াবাধনে চিকিৎসা করা হয়। তবে বেশ কিছু পরীক্ষার পর পরে ডাক্তার জানান পেটের ভিতর পাথর ধরা পড়েছে। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারখে যখন অপরেশন করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তখন ডাক্তার জানান মায়ের ক্যান্সার হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিবারের লোকসংখ্যা অনেক। বাবা কৃষক, রোজগার নেই। বড় ভাইয়ের একার পক্ষে সংসার চালানোই কষ্ট। এদিকে আমার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। আর হবে কিনা জানিনা। কিন্তু আমি চাই আমার মা বেঁচে থাকুক। আপনাদের কাছে আকুতি জানাই, আমার মায়ের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা না করতে পারলেও দোয়া করবেন। যাতে আমার মা দ্রুত সুস্থ হয়ে হাসি-খুশি মনে পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারে।’

আল-আমিনের মায়ের চিকিৎসা খরচ গোছাতে তার সহপাঠীরা নানা ক্যাম্পাইন ও অর্থ সংগ্রহের কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও দেশ বা দেশের বাহিরে যারা আছেন তাদেরকে সাহায্য পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

# বিকাশ-আল আমিন বিকাশ (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা),০১৯৯২৫৫৩৯৫৪(রোগীর সন্তান)
# বিকাশ-০১৭৭৩৭৮৮১৫৪ (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী বিজয়) # রকেট-০১৭৫৩৬৬৬৬৮০ (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সুব্রত) # নগদ- ০১৬২৫৪১৭৩০৩ (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শামীম)

ব্যাংক একাউন্ট-০২০০০০৯৯২০৮০৪, (একাউন্ট নাম- মোঃ মিলন মিয়া, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী) অগ্রণী ব্যাংক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

Loading