কুবিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত।

প্রকাশিত: ৫:৫৬ অপরাহ্ণ , মার্চ ১৭, ২০২২

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ দিনটি উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও দেশাত্ববোধক গান পরিবেশনের পাশাপাশি আবাসিক হল, প্রশাসনিক ভবন আলোক সজ্জিত করা হয়েছে। এছাড়াও শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং বাদ যোহর দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে র‍্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে নিয়ে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ছাত্রলীগ কুবি শাখা, অফিসার্স এসোসিয়েশন, বিভিন্ন হল, বিভাগসমূহ, কর্মচারী সমিতি ও অন্যান সংগঠন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।
পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির পাদদেশে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, “হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী আজ। বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশের সঙ্গে অভিন্ন সত্ত্বায় পরিণত হওয়া এই মহানায়কের জন্মদিন বাঙালি জাতির জন্য এক নির্মল আনন্দের দিন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা পৃথিবীতে আর পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। তিনি সকলকে শ্রদ্ধা আর ভালবাসা দিয়ে একত্রিত করেছিলেন। আমরা জাতি হিসেবে গর্বিত। আমাদের নেতা মরেনি। তিনি বেঁচে আছেন তাঁর রেখে যাওয়া কর্মের মাধ্যমে।” তিনি আরও বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে, কাজ করতে হবে, সোনালী অতীত ইতিহাসকে সোনালী বাস্তবে পরিণত করতে হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, “আজকের শুভ জন্মদিনে বঙ্গবন্ধুকে আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। বঙ্গবন্ধুকে আমরা কতটুকু ধারণ করতে পেরেছি তারই তাৎপর্য আজকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ১৯৪৭ সাল থেকে ধাপে ধাপে বাঙালি জাতিকে তিনি একত্রিত করেছেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের ঐক্যের প্রতিক। আমাদের প্রত্যেকের যার যার জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানে কাজ করে যেতে হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, “আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। টুঙ্গি পাড়ায় জন্ম নেয়া এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম ছিল খোকা। তঁার প্রতিভা, তাঁর কর্মচাঞ্চল্য বিস্ময় সৃষ্টি করেছিল তাঁর জন্মলগ্ন থেকেই। তাঁর কথা, চালচলন, প্রতিটি বাক্য বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য অনুসরনীয়। বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের গুণাবলীকে বুকে ধারণ করে আমরা সবাই মিলে নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।”

সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে নিয়ে কেক কাটেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। এর পর চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম।

Loading