বশেমুরবিপ্রবিতে রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অবৈধ সনদে চাকরির অভিযোগ

প্রকাশিত: ৮:২২ অপরাহ্ণ , মার্চ ১৪, ২০২২

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) পদে ভুয়া সনদে দীর্ঘদিন চাকরি করে যাচ্ছেন মোঃ মোরাদ হোসেন বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। তিনি অবৈধ এমবিএ ও অভিজ্ঞতার সনদ ব্যবহার করে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২রা এপ্রিল সহকারী রেজিস্ট্রার পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেন তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. এম খায়রুল আলম খান।
আরও জানা যায়, তিনি তৎকালীন উপাচার্যের ছোট বোনের জামাই সুবাদে চাকরি পান। ২০১১ সালের ৪ঠা মে এক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১লা আগস্ট ২০১১ সালে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে স্থায়ীভাবে যোগদান করেন।

তবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ৪নং শর্তাবলীর আবেদন ফর্মের সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সনদ সংযুক্ত করার বিষয়ে বলা হলেও তিনি তা না দিয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা এমবিএ সনদ প্রদান করেন। যেখানে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৮ সালে সিজিপিএ ৩.৮৩ দেখিয়ে একটি ভুয়া সনদ সহ অভিজ্ঞতা সনদের পরিবর্তে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার পদে ২০০২ সালের সিনিয়র অফিসার পদে ২০০৬ সালে ১ই জুন এবং সহকারী রেজিস্ট্রার পদে ২০০৯ সালে ১লা এপ্রিল পর্যন্ত তিনটি নিয়োগের ফটোকপি সংযুক্ত আবেদন পত্রে যুক্ত করেন।

তবে, দেখা যায় মোরাদ হোসেনের দাখিল করা এমবিএ সনদে রোল, নিবন্ধন, ক্রমিক নম্বর ও শিক্ষাবর্ষের উল্লেখ নেই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ মোরাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য এ. কিউ. এম. মাহবুব বলেনঃ এটা বাদ দেন তো আপনারা। এই ঘরের ভেতরে ওনার সাব-অর্ডিনটরা এগুলো শুরু করে দিয়েছে। আপনারা বিশ্ববিদ্যালয় বুঝেন না? ইনি একটা কম্পিউটার লোক। রেজিস্ট্রারকে তাড়ানোর ব্যবস্থা করতেছে। তারে তাড়ালে আমি অকেজো হয়ে যাব।

তিনি আরো বলেনঃ রেজিস্ট্রার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স করা। তার দারুল ইহসানের মাস্টার্স ডিগ্রি দিয়ে কি হবে? এগুলো দিয়ে তোমরা কি করতে চাচ্ছো? আমার ঘরের ভিতরে হাজার সমস্যা তার মধ্যে সময় নষ্ট করে এসব করার দরকার নাই। এগুলো বাদ দাও তোমরা।

প্রসঙ্গত, মোঃ মোরাদ হোসেন ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে অস্থায়ী ভিত্তিতে সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করে পুনরায় ১/৮/২০১১ তারিখে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে স্থায়ীভাবে যোগদান করেন। এবং ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উপ-রেজিস্ট্রার পদে আপগ্রেডেশন পান। বর্তমানে তিনি ১/৯/২১ তারিখ থেকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত আছেন।

Loading