পাবনায় সাংবাদিক হত্যাচেষ্টা, পিস্তলসহ যুবক আটক

প্রকাশিত: ৭:২৫ অপরাহ্ণ , মার্চ ৮, ২০২২

পাবনায় সাংবাদিক আব্দুল হামিদ খান (৫২) কে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যাচেষ্টা করেছে এক কথিত সাংবাদিক। তার নাম সাইফুল ইসলাম (৪৫)। তাকে পিস্তলসহ ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এ সময় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও পিস্তলের আঘাতে মাথায় গুরুতর জখম হন হামিদ খান। তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাংবাদিক আব্দুল হামিদ খান দি বাংলাদেশ টুডে পত্রিকার পাবনা প্রতিনিধি ও পাবনা প্রেসক্লাবের সদস্য।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় পাবনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) কাজী আতিয়ুর রহমানের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আটক সাইফুল ইসলাম পাবনা পৌর সদরের ছাতিয়ানী মহল্লার জাহাঙ্গীর কবিরের ছেলে। তিনি নিজেকে ‘ক্রাইম ফাইল’ নামে নাম-সর্বস্ব কথিত পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)’র পাবনা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সুইট জানান, এঘটনার সময় সাংবাদিক আব্দুল হামিদ খান জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) কাজী আতিয়ুর রহমানের দপ্তরে বসে কথা বলছিলেন। এসময় সাংবাদিক পরিচয়দানকারী সাইফুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত হন। কথোপকথনের এক পর্যায়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুল হামিদ খান ও সাইফুল ইসলামের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। এরই এক পর্যায়ে কথিত সাংবাদিক
সাইফুল ইসলাম নিজ হেফাজতে থাকা লাইসেন্সকৃত পিস্তল বের করে হামিদ খানের মাথায় ঠেকিয়ে টিগার চাপেন। কিন্তু পিস্তল লক থাকায় গুলি বের হয়নি।

এ সময় উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে পিস্তল দিয়ে হামিদ খানের মাথায় কয়েকটি আঘাত করেন কথিত ওই সাংবাদিক। চিৎকারে অফিসের অন্যান্যরা ছুটে এসে কথিত সাংবাদিক সাইফুলকে অস্ত্রসহ আটক করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়। আহত আব্দুল হামিদ খানের সহকর্মিরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) রোকনুজ্জামান জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কথিত সাংবাদিককে অস্ত্রসহ আটক করেছে। অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট অপরাধে মামলা দায়ের করে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান বলেন, একজন উপ-সচিবের কক্ষের মধ্যে এমন ধৃষ্টতা দেখানো মেনে নেয়া যায় না। এরা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। কথিত ওই সাংবাদিকের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানাই। সেই সাথে জড়িত কথিত সাংবাদিকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য প্রশাসনকে নজরদারি বাড়ানো আহবান জানান তিনি।

Loading