বশেমুরবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন

প্রকাশিত: ৭:৪৯ অপরাহ্ণ , মার্চ ৭, ২০২২

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ২০২২ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তালন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রচার ও আলোচনা সভা, টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।

আজ সোমবার(৭ই মার্চ) দুপুর ১২.৩০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৫০১নং কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাইস-চ্যান্সলর প্রফেসর ড. এ.কিউ. এম. মাহবুব এবং মূখ্য আলোচক হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আশফাক হাসান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড.মোঃ শাহজাহান ও সঞ্চালনা করেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামীমা আক্তার।

মূখ্য আলোচক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আশফাক হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাংলার সকল শ্রেণির মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। এ ভাষণ বাঙ্গালির হাজার বছরের সংগ্রাম, আবেগ ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল। তিনি আরো বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং ২৬ মার্চ সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলন।

আলোচনা সভার সভাপতি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণ এবং এটির মধ্যে লুকায়িত ছিলো বাঙ্গালির চেতনা ও স্বাধীনতা। তিনি তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও তাঁর আদর্শ বুকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে তাঁর হাতকে শক্তিশালী করতে হব।

বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান বলেন, জাতির পিতার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সাত কোটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিল।

এর আগে সকাল ৯টায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং তাঁর নেতৃত্বে সকাল ১১টায় টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এসময় জাতির পিতা ও ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট তাঁর পরিবারের সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

Loading