রামগড় স্থলবন্দরের চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে নৌ প্রতিমন্ত্রী

বাহার উদ্দিন বাহার উদ্দিন

রামগড় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৯:০৩ অপরাহ্ণ , ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২

খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় স্থলবন্দরের চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেছেন নৌ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারী)সকালে তিনি রামগড় স্থলবন্দরের চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে আসেন।এসময় বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর, প্রকল্প পরিচালক সরওয়ার আলম,বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র রামগড় জোন অধিনায়ক লে: কর্ণেল আনোয়ারুল মাজহার বিপিএম, পিএসসি,খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু,রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোঃ ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত,পৌর মেয়র রফিকুল আলম কামাল ও অন্যান্যরাসহ প্রতিমন্ত্রী স্থল বন্দর উন্নয়নের কর্মকাণ্ড ও ফেনী নদীর উপর নির্মিত বাংলাদেশ – ভারত মৈত্রী সেতু ঘুরে দেখেন এবং কাজের খোঁজ খবর নেন। পরিদর্শনশেষে প্রতিমন্ত্রী অংশিজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় বলেন, এ সেতু বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ঐক্যের প্রতিক।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে সুসম্পর্ককের বন্দন সমুন্নত রাখতে এই বন্দর। “কারো সাথে বৈরীতা নয়,সকলের সাথে সুসম্পর্ক” জাতির পিতার এই পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা,স্বাস্থ্যসহ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।আমারা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি।আগামী ১৩ বছরে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশ ২৫- ২০ তম স্থান করে নিবে। প্রকল্প পরিচালক সরওয়ার আলম বলেন, দ্রুতগতিতে বন্দরের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে স্থল বন্দরের কাজ সম্পন্ন হবে। বিশ্বব্যংকের অর্থায়নে নির্মাণ ও স্থাপনা ব্যায় ১ শ ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প এটি।১০ একর জায়গা জুড়ে হবে বন্দর এরিয়া। এই ভূমি অধিগ্রহণে বাংলাদেশ সরকারের ব্যায় হবে প্রায়৭৪ কোটি টাকা। ৬ মাসের মধ্যে ইমিগ্রেশন অথবা লেন্ড কাস্টমস (এলসি) চালু করা যায় কিনা বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলাপ আলোচনা করা হবে বলেও জানান প্রকল্প পরিচালক।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর প্রাচীনমহকুমা শহর রামগড় বর্তমান বিজিবির উৎপত্তি স্থান উল্লেখ করে বলেন,স্থলবন্দর চালু হলে বাংলাদেশ ভারত দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ,ব্যবসা বানিজ্য সহজতর হবে। এলাকার মানুষের জীবন জীবিকার মান পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক,সাংস্কৃতিক উন্নয়ন হবে, বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।তিনি বন্দরের কাজ সুন্দরভাবে শেষ করতে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির সহায়তা কামনা করেন।

Loading