এশিয়ায় ধীরে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন

প্রকাশিত: ৫:২০ অপরাহ্ণ , ডিসেম্বর ৩০, ২০২১

ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে এশিয়ার দেশগুলোতে ধীর গতিতে ছড়াচ্ছে মহামারি করোনা ভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ধরনের স্বীকৃতি পাওয়া ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে তথ্যটি জানিয়েছে ভারতীয় মিডিয়া দ্য হিন্দুস্তান টাইমস।

চলতি বছরের ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর গেল গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা মহাদেশে প্রাধান্য বিস্তারকারী ধরন হয়ে উঠেছে এই ভাইরাসটি। সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের কারণে রীতিমতো ধুঁকছে ইউরোপ।

সংকটময় এমন পরিস্থিতিতে এশিয়ার সঙ্গে এই দুই মহাদেশের পরিস্থিতি তুলনা করে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে জনবহুল মহাদেশটিতে ধীর গতিতে ছড়াচ্ছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। তবে ঠিক কিভাবে এটি সম্ভব হলো?

একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে কঠোর কোয়ারেন্টিন বিধি ও মাস্ক পরা বিষয়ক বাধ্যবাধকতা। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার অল্প কয়েকদিনের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং থাইল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ বিদেশি যাত্রীদের প্রবেশ ও কোয়ারেন্টিন বিধিনিষেধ ফের কঠোর করে।

মূলত তার সুফলই এখন অবশ্য পাচ্ছে দেশগুলো। থাইল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ওমিক্রনে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭০০ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় এই সংখ্যা পাঁচশর কিছু বেশি এবং জাপানে মাত্র ৩ শতাধিক।

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীনে এ পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র আটজন। আর ফিলিপাইনে আরও কম- মাত্র চারজন।

চলতি বছর করোনার ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারতেও এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আছে ওমিক্রন পরিস্থিতি। ১৪০ কোটি মানুষের দেশটিতে এ পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন সাতশর কিছু বেশি সংখ্যক রোগী।

এছাড়া ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে এরই মধ্যে রাজধানী নয়াদিল্লিসহ বেশ কয়েকটি প্রদেশে রাত্রিকালীন কারফিউসহ কঠোর করোনা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এরই মধ্যে বড়দিন ও নববর্ষের উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নয়াদিল্লি।

কিন্তু কতদিন এই সুফল এশিয়াবাসী ভোগ করতে পারবেন, তা নিয়ে সন্দিহান আছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, তুলনামূলকভাবে ধীর গতিতে হলেও এশিয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এবং যে কোনো সময়েই সংক্রমণের উল্লম্ফন ঘটার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনের কয়েকমাস খুবই কঠিন হবে এশিয়াবাসীর জন্য। জাপানের ক্ষমতাসীন সরকারের শীর্ষ চিকিৎসা উপদেষ্টা ডা, শিগেরু অমি এ বিষয়ে বলেন, যে কোনো সময়, একটু অসতর্ক হলেই ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়তে থাকবে এবং একবার যদি সংক্রমণ বাড়া শুরু করে, এশিয়ার দেশগুলোতে ভয়াবহ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়বে এই ভাইরাসটি।

Loading