নোয়াখালীতে কাজী নুরুল আফছারের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাৎ,মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রকাশিত: ৯:২৩ অপরাহ্ণ , ডিসেম্বর ১৫, ২০২১

ইফতেখাইরুল আলম,

নোয়াখালী,বেগমগঞ্জ উপজেলার ৩ নং জিরতলী ইউপির নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার কাজী নুরুল আফছার শিপন ওরফে এম এন আফছারের বিরুদ্ধে প্রায় ১ কোটি টাকা প্রতারনা ও জালিয়াতির অভিযোগ এনে আদালতে অর্ধ ডজন মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।এর মধ্যে কয়েকটি মামলায় কাজী নুরুল আফছার শিপনের বিরুদ্ধে আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বলে মামলার বাদী জানায়।এ ছাড়া ওতার বিরুদ্ধে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়ান ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নং আমলী আদালত ও ৫ নং বিচারিক আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহিতারও ২ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মামলা গুলো হলো জি আর নং- ৩০২/২০১৪ইং এবং জি আর নং-১৩৭৩/২০১৪ ইং।৩ নং জিরতলী ইউপির বর্তমান কাজীর দায়িত্বে আছেন ফাজিলপুর গ্রামের আজিব উল্যার ছেলে নুরুল আফছার শিপন।মামলার সূএে জানা গেছে,কাজী শিপন একজন বড় মাপের প্রতারক ও জালিয়াতির কোটের একাধিক মামলার পলাতক ফেরারি আসামি।এএ পরেও আসামি শিপন, বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে কাজী হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে নিয়োগ পেলেন গত ১৮/৮/২১ ইং তারিখে।কোটের পলাতক আসামি শিপনকে এই অস্থায়ী নিয়োগটি দিয়েছেন,নোয়াখালী জেলার বর্তমান রেজিস্ট্রার আবদুল খালেক।প্রতারনা ও জালিয়াতি এবং রাষ্ট্র দ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত পলাতক আসামি হয়ে ও কাজী শিপনকে অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার আবদুল খালেক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,তার বিরুদ্ধে এতগুলো মামলা এবং কোটের গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে তিনি কিছুই জানে না।তিনি বলেন আপনারা অভিযোগ দিন,আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।তিনি আরও বলেন,জিরতলী ইউনিয়নের কাজী নিয়োগে আমার কোন হাত নেই।অপরদিকে প্রতারক কাজী শিপনের বিরুদ্ধে কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাএ ভর্তির নামে বেগমগঞ্জ থানার বর অভিরামপুর গ্রামের জৈনিক আবদুল মান্নানের ছেলে রেজাউল করিম(২৭)থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।শিপনের নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রতারক রেজাউল করিম থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়ে গত ১৫/৪/২০১৯ইং সালে ভুক্তভোগী রেজাউল করিমকে জাল ভিসা ও জাল বিমানের টিকিট প্রদান করেন।তিনি কানাডায় যাওয়ার পস্তুুতি নিয়ে ঢাকায় যান।কাজী শিপনের দেয়া ঐ ভিসা ও টিকিট নিয়ে ওকে করনোর জন্য ট্রাভেল এজেন্সিতে গেলে তা জাল ও ভুয়া প্রমানিত হয়।পরবর্তীতে ভুক্তভোগী রেজাউল করিম ২০২১ ইং সালে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নং আমলী আদালতে (বেগমগঞ্জ)তিনটি মামলা দায়ের করেন।এইদিকে একেই আদালতে কাজী নুরুল আফছার শিপনের সোনাইমুড়ী উপজেলার বারাহী নগর গ্রামের জৈনিক মোঃজাফর আহমেদের মেয়ে নাজমুন নাহার তানু(২৪) গত ৪/১১/২০১৮ ইং সালে জালিয়াতি ও প্রতারনার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।মামলা নংসি আর ৫২১/২০১৮ ইং।উক্ত মামলায় অভিযোগে কাজী শিপন তার পরিচিত সাপোর্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।সেই সুবাদে নুরুল আফছার শিপনের সাথে বাদী নাজমুন নাহার তানুর পরিচয় হয়।তাকেও কানাডায় পাঠানোর নামে কাজী শিপন ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।টাকা হাতিয়ে নিয়ে শিপন পালাতক রয়েছে বলে ভুক্তভোগী জানায়।এই ছাড়া ও জিরতলী ইউনিয়নের জৈনিক আমির হোসেনের স্রী ফাতিমা আক্তার(৩৫) সাপোর্ট এফবক্স আইটি লিঃব্যবস্থাপনা পরিচালক শিপনের বিরুদ্ধে একেই আদালতে প্রতারনা ও ৪২ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ এনে শিপনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।পিটিশন নং ৫৭৬/২০১৯ ইং সি আর মামলা নং ৪৫২/২০২১ ইং।তারিখ ১৬/৯/১৯ইং মামলার অভিযোগ হচ্ছে শিপন তার সাপোর্ট গ্রুপে ২ টি ডাইরেক্টরশীপ ঐ মহিলাকে দিয়ে খরিদ করান।তিনি বাদীকে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে ডিরেক্টর শীপের নামে বিভিন্ন সময়ে ৪২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।কিন্তুু শিপন বাদীকে আদৌ কোন মুনাফা না দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারনা করে আসছেন।এই ছাড়া শিপনের বলে বিরুদ্ধে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে নাবালক মেয়েকে বিয়ে ও ধর্ষণের অভিযোগে বেগমগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০(সংশোধনী-২০০৩)এর৭/৯(১)/৩০ ধারা মতে মামলা দায়ের হয়।উক্ত মামলায় কাজী নুরুল আফছার শিপন ৪ নং এজাহার ভুক্ত আসামি। ঐ মামলাটির বাদী হলেন,ধর্ষিতার ভাই মোঃতানভির হাসান(২১)পিতা মোঃজাহাঙ্গীর আলম,গ্রাম ২ নং রসুলপুর ইউনিয়ন,(হাজী মোখলেছুর রহমান মাষ্টারের বাড়ি)।উক্ত মামলায় কাজী নুরুল আফছার শিপন প্রকাশ কাজী শিপন(৩২) চার্জশিট ভুক্ত আসামি হিসেবে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

Loading