বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সুপারিশ জাতিসংঘের

প্রকাশিত: ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ , নভেম্বর ২৫, ২০২১

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তোরণের সুপারিশ গৃহীত হয়েছে। একমাত্র দেশ হিসেবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ৩টি মানদণ্ডই পূরণ করেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময় বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাতে এক টুইটা বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা।

রেজুলেশনটি গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে পরবর্তী ধাপে উত্তরণের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলো।

এটি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় একটি যুগান্তকারী অর্জন যা এমন এক সময়ে অর্জিত হলো যখন বাংলাদেশ মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছে।

টুইট বার্তায় এ বিষয়ে রাবাব ফাতিমা লিখেন, ‘জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ঐতিহাসিন সুপারিশ গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী (৫০ বছর) ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের ক্ষেত্রে এর চেয়ে দারুণ উপলক্ষ আর কি হতে পারে! জাতির বহুদিনের আশা-আকাঙ্খা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প-২০২১ অবশেষে পূর্ণতা পেলো। জয় বাংলা।’

এর আগে চলতি বছরে ২২-২৬ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) বৈঠকে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছিল। এর ৯ মাসের মাথায় সেটি জাতিসংঘে গৃহীত হলো। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালে বাংলাদেশ আর স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় থাকবে না। উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভূক্ত হবে।

যদিও এটি ২০২৪ সালে লাভ করার কথা ছিল। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ দুই বছর সময় চেয়ে নিয়েছিল।

একমাত্র দেশ হিসেবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের যে ৩টি মানদণ্ডই বাংলাদেশ পূরণ করেছে সেগুলো হলো— মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা। মূলত এ তিনটি সূচকের ভিত্তিতেই জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়টি পর্যালোচনা করে থাকে।

জাতিসংঘের পর্যালোচনা অনুযায়ী ২০১৯ সালে মাথাপিছু আয়ের মানদণ্ড নির্ধারিত ছিল ১ হাজার ২২২ মার্কিন ডলার। কিন্তু সে সময় বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৮২৭ ডলার। আর বর্তমানে (নভেম্বর-২০২১) সেটা ২ হাজার ৫৫৪ ডলার।

মানবসম্পদ সূচকে জাতিসংঘের নির্ধারিত মানদণ্ড ছিল সর্বনিম্ন ৬৬। আর তখন বাংলাদেশের ছিল ৭৫.৪।

অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা সূচকের মানদণ্ড নির্ধারিত ছিল ৩২ কিংবা তার কম। সে সময় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৭ এ।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে ২০১৮ সালে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) সবগুলো শর্ত পূরণ করে।

Loading