চাকুরী নয় সার্ভিস দিতেই এসেছি-মনিরুজ্জামান মানিক

প্রকাশিত: ৭:৩৮ অপরাহ্ণ , অক্টোবর ২৮, ২০২১

-চাকুরী নয় সার্ভিস দিতেই এসেছিলাম ! তবে আজকের প্রজন্মের মতো খুব বুঝেশুনে আসিনি। আমাদের সময়ের গল্পটা ছিলো একটু অন্য রকম। অনেকটা আবেগের,অনেকটা এ্যাডভেঞ্চারের। অনেকটা স্বপ্নের বিভোরতায় নিমগ্ন ছিলাম আমরা। জীবনের মূলধন থেকে ২২টি বছর কিভাবে যে পেড়িয়ে গেলো আজ ভাবতেও অবাক লাগছে। মনে হচ্ছে এই তো সেদিন সারদার মাঠের ধুলোমাখা পথে হাতড়িয়ে বেড়াচ্ছি। পুলিশের পোশাক গায়ে জড়িয়ে কখনো নিজকে ছোট ভাবনি। সমাজ সংসার দেশ জাতি পুলিশকে যে চোখেই দেখুক না কেন,আমরা আমাদের দেশের মানুষকে মানুষই ভাবতে শিখেছি। অনেকেই আমাদেরকে মানুষের শ্রেণী থেকে ব্যবচ্ছেদ করেছেন,তাতেও আমরা আমাদের ভাবনা থেকে ছিটকে পড়িনি। সমাজের প্রতিটি স্তরেই মন্দ লোক বাস করে। আমাদের বেলায়ও তার কোন ব্যতিত্রুম হতে পারেনা। এটা স্বাভাবিক,এটা ধ্রুবসত্য। তবে একথা সত্যি যে,সাধারণ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল কেবলই পুলিশের আন্তরিকতা কিংবা নির্লোভ সহযোগিতা। মাঝেমাঝে মনে হয়,আমরা আমাদের সার্ভিস দিয়ে সাধারণ মানুষের মন ছুঁতে পেরেছি। আবার মাঝেমাঝে মনে হয় আমরা শুধু আজীবন পন্ডশ্রমই করে গেলাম। মানুষকে সরাসরি সেবা দেওয়ার মাঝে সীমাহীন আনন্দ আছে,যা দেশের অন্য কোন চাকুরীতে নেই। হাজারো সীমাবদ্ধতার মাঝে যতটুকু সময় ও সুযোগ পেয়েছি,মানুষের মনের কথা অন্তত মন দিয়ে শুনার চেষ্টা করেছি,সাধ্যমত সেবা দিয়েছি এটাই এই পোশাকে, এই সার্ভিসের স্বার্থকথা।

মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধকারী বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্য হতে পেরে নিজকে ধন্য ও গর্বিত মনে করি।
সবার কাছে দোয়া চাই এমনি করেই যেন মানুষের পাশে থেকে এজীবনের ইতি টানতে পারি,,,

Loading