বেনাপোল স্থলবন্দরে সন্ধ্যার পর পচনশীল পণ্যের শুল্কায়ন বন্ধ

প্রকাশিত: ৭:২০ অপরাহ্ণ , সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১

 মোঃ সংগ্রাম হোসেন

রাজস্ব ফাঁকি রোধ করতে যেয়ে সন্ধ্যার পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পঁচনশীল পণ্যের শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বেনাপোল শুল্ক কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যার পর পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে কিছু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে বাধ্য হয়েই এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক কর্তৃপক্ষ। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তের কারনে দিনের দিন পণ্য খালাস নিতে না পারায় গরমে অধিকাংশ পণ্য নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সম্প্রতি এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের শুল্ক ফাঁকির কারসাজিতে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি তাদের কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীরা পড়ছেন বিপাকে। বেনাপোল কাস্টম হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ড. মো: নেয়ামুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যার পর কাঁচামাল জাতীয় পণ্য ছাড়করণের ক্ষেত্রে কিছু ব্যবসায়ী অনিয়ম করে শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করে থাকে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রায় ৩ কোটি টাকা রাজস্ব বকেয়া রয়েছে। তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না। ফলে নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে আপাতত শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। কিছুদিন আগেও বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফল জাতীয় কাঁচামাল আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। তবে এখন ভারত থেকে প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের ফল ও খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পঁচনশীল পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। এসব আমদানি পণ্য থেকে প্রতিদিন সরকারের ২ থেকে ৩ কোটি টাকা রাজস্ব আসে। বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রানশিপমেন্ট ইয়ার্ডের পরিদর্শক (ট্রাফিক) পলাশ জানান, বেনাপোল বন্দরে গত তিনদিনে ভারত থেকে ৪৫ ট্রাক খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পঁচনশীল পণ্য আমদানি হয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে মাছ, টমেটো, কাঁচামরিচ, আঙুর, ক্যাপসিক্যামসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। তবে কাস্টমসে বিধি নিষেধের কারণে সন্ধ্যার পর ব্যবসায়ীরা অনেক পণ্য খালাস নিতে পারেননি। তবে এ সিদ্ধান্তে রাজস্ব ফাঁকি রোধ হয়েছে। আমদানিকারকদের একজন প্রতিনিধি রয়েল হোসেন বলেন, ভারত থেকে মূলত পঁচনশীল পণ্য বিকেলের দিকে আসে। আগে তারা গভীর রাত পর্যন্ত পণ্য খালাস নিতে পারতেন। তবে বর্তমানে সন্ধ্যার পর পঁচনশীল জাতীয় কোনো কাঁচামাল খালাস নিতে পারছেন না। এতে তারা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কাঁচামাল গরমের মধ্যে পচে নষ্ট হচ্ছে। সৎ ব্যবসায়ীদের বৈধ সুবিধা বাস্তবায়ন করতে শুল্ক কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান এই ব্যবসায়ী।

Loading