ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীতে শুক্রবার রাতে সংঘটিত দুবাই প্রবাসী মো. সোহেলের পরকীয়া নিয়ে তর্কাতর্কি ও মৌখিক তালাক দেয়ায় বটি দিয়ে পিছন থেকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে র‍্যাবকে জানিয়েছে নিহতের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার শিউলি। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রোকেয়া আক্তার শিউলিকে (২৮) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের খাজুরিয়া এলাকার চাচার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। এ সময় দুই শিশু সন্তান তার মায়ের সাথে ছিল। রবিবার সকালে ফেনীর মহিপালস্থ র‍্যাব ৭ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান ফেনী র‌্যাব-৭ কোম্পানি অধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল জাবের ইমরান। আব্দুল্লাহ আল জাবের ইমরান জানান, দুবাই প্রবাসী নিহত সোহেলের সাথে এক নারীর দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিলো। এ নিয়ে স্ত্রীর রোকেয়া আক্তার শিউলির সাথে দাম্পত্য কলহ চলে প্রতিদিন।

এ নিয়ে কলহ চরম পর্যায়ে পৌঁছে। বৃহস্পতিবার রাতে ফের তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে প্রবাসী সোহেল তার স্ত্রীকে মৌখিকভাবে তালাক উচ্চারণ করে। এতে স্ত্রী শিউলি চরম ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায় স্বামী সোহেল খাটের উপর বসে থাকা অবস্থায় পেছন দিক থেকে বটি দা দিয়ে কুপিয়ে এবং পরে আবার জবাই করে নৃশংস ভাবে তাকে হত্যা করে। শিউলির ভাষ্যমতে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি ধুয়ে পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। পরে স্ত্রী শিউলি তার বাবা মারা গেছেন এমন কথা বলে বাড়ির দারোয়ানকে বলে দুসন্তান নিয়ে রাতেই পালিয়ে প্রথমে চট্রগ্রাম ও ফটিকছড়ি যায় ।পরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে তার চাচার বাড়িতে অবস্থান নেয়। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে সেখান থেকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল, দেশী-বিদেশী অর্থ ও স্বর্ণ অলংকার জব্দ করা হয় ও হত্যায় ব্যবহৃত বটিটি উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপরে নিহতের মা মিরালা বেগম বাদী হয়ে নিহতের স্ত্রী শিউলির বিরুদ্ধে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরবর্তী ব্যবস্হা নিতে শিউলিকে কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে বলে র্যাব জানায়।