প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেটেড অফিসার ও নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০২১ সংশোধন করে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতির দাবিতে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কাছে স্মারক লিপি পেশ করেছে রামগড় উপজেলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি। বৃহষ্পতিবার(১২ আগষ্ট) রামগড় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রতিমন্ত্রী বরাবর লেখা স্মারকলিপিটি হস্তান্তর করেন সমিতির নেতৃবৃন্দ। একই দাবিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবরেও পৃথক পৃথকভাবে এ স্মারকলিপি পেশ করা হয়। স্মারকলিপিতে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের স্থায়ী পদোন্নতি প্রদানেরও দাবী জানানো হয়েছে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা প্রদান করলেও তা এখনও বাস্তবায়ন না হওয়ায়, ১০ম গ্রেডসহ দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদার সুফল ভোগ করতে পারছেন না প্রধান শিক্ষকরা। আবার দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় প্রধান শিক্ষকরা তাদের বকেয়া টাইমস্কেলও পাচ্ছেন না। ১৯৯৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর এক সংশোধনী গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি বন্ধ করা হয়। যা প্রধান শিক্ষকদের কাছে একটি ‘কালো আইন’ নামে পরিচিত। ফলে প্রধান শিক্ষক পদটি দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে ‘ব্লক পোস্ট’ হিসেবে রয়েছে।
স্মারকলিপিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেটেড অফিসার ও নন গেজেটেড কর্মচারি নিয়োগ বিধিমালা ২০২১ সংশোধন করে যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষকদের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার , সহকারী ইন্সট্রাক্টরসহ সমমানের পদগুলোতে পদোন্নতি দেয়ার বিধান করার দাবি জানানো হয় ।
স্মারকলিপি প্রদানকালে রামগড় উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সহ সভাপতি মোঃ মাইন উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক ললিত কিশোর ত্রিপুরা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সেলিনা আক্তার, অরবিন্দ নাথ, সঞ্জিত দেবনাথ, আইসিটি সম্পাদক পলাশ দেবনাথ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।