চরম দুর্ভোগঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২০ কিমি যানজট নিউজ ৭১ অনলাইন নিউজ ৭১ অনলাইন প্রকাশিত: ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ , আগস্ট ১, ২০২১ আজ রোববার থেকে সব গার্মেন্টস ও কলকারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। এই কারণে শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে গণপরিবহন চালু হওয়ায় টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে শনিবার (৩১ জুলাই) রাত থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশে থেমে থেমে পরিবহন চলাচল করছে। এতে কোথাও কোথাও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগসরেজমিনে রোববার (১ আগস্ট) সকাল থেকে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব, এলেঙ্গা, পুংলি, রাবনা বাইপাস এলাকায় থেমে থেমে পরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে।জানা গেছে, চলমান লকডাউনে গার্মেন্টস ও কলকারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে পৌঁছার জন্য গণপরিবহন ও লঞ্চ রোববার দুপুর পর্যন্ত চালু রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থেকে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ২০ কিমি এলাকায় থেমে থেমে পরিবহন চলাচল করছে।এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কর্মস্থলে ফেরা মানুষদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশনা থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে গণপরিবহন না থাকায় কর্মজীবী মানুষ খোলা ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেটকার, সিএনজি ও মোটরসাইকেলযোগে গাদাগাদি করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এতে একদিকে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে অন্যদিকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে এসব কর্মজীবী মানুষদের।ঢাকামুখী শ্রমিকরা জানান, স্বল্প সময়ের জন্য গণপরিবহন চালু করায় কর্মস্থলে ফেরা মানুষ স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে গাদাগাদি করে ফিরছেন। এতে বাড়তি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে তাদের। তবে চাকরি বাঁচাতে বাধ্য হয়েই এভাবে কর্মস্থলে যাচ্ছেন।মহাসড়কে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা জানান, সরকার কর্তৃক নতুন প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ নিয়োজিত রয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো দুর্ঘটনা বা যানজট হয়নি। শেয়ার বাংলাদেশবিষয়: