একজন আব্দুল মমিন আদর্শিক রাজনীতিবীদ ও সততার মূর্ত প্রতীক

সুস্থির সরকার সুস্থির সরকার

বিভাগীয় প্রধান ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ১:২১ অপরাহ্ণ , জুলাই ১৫, ২০২১

আজ ১৫ জুলাই বাংলাদেশের কিংবদন্তী রাজনীতিবীদ জননেতা মরহুম আব্দুল মমিন এঁর ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। আবদুল মমিন ২০০৪ সালের ১৫ জুলাই বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার নিজ বাড়িতে পারিবারিক গুরুস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এই মহান নেতাকে। নেত্রকোণা তথা দেশের মাটি ও মানুষের জন্য মৃত্যুবদী কাজ করে গেছেন তিনি।

মরহুম আবদুল মমিন ছিলেন রাজনীতিবিদ, ভাষা সৈনিক, আইনজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তিনি তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী ছিলেন।

আবদুল মোমিন ১৯২৯ সালে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের কাজিয়াটিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা খান আবদুল আজিজ আহমদ। তিনি ১৯৪৫ সালে মোহনগঞ্জ হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৪৭ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইএ, ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্বাবদ্যালয় থেকে বিএ অনার্স, ১৯৫১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ এবং ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন।

তিনি ১৯৬৪ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করে ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক ও নেত্রকোণা মহকুমা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০ সালের তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে তিনি এমসিএ হিসেবে সংবিধান কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন ময়মনসিংহ-২২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভায় খাদ্য ও বেসামরিক সরবরাহ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী নিযুক্ত হন। তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের মন্ত্রিসভায়ও সদস্য ছিলেন।
১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন ময়মনসিংহ-১৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোণা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির উদীয়মান জনপ্রিয় রাজনীতিক লুৎফুজ্জামান বাবর এর কাছে নেত্রকোণা-৪ আসনে পরাজিত হয়েছিলেন।

জীবনের শেষ দিনেও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ছিলেন।

Loading