শ’য়তান বলাতে কিশোরীর সঙ্গে অ’নৈতিক কাজে লিপ্ত হয়েছি’

প্রকাশিত: ৪:৫৪ অপরাহ্ণ , জুন ৪, ২০২১

চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের এক মহিলা মাদরাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ গাজী ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) তাকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর তিনি বলেন, ‘শয়তান বলাতে কিশোরীর সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়েছি।’

আটককৃত ব্যক্তি সদর উপজেলার ৯ নং বালিয়া ইউনিয়নের চাপিলা গ্রামের নেসার উদ্দিন গাজীর ছেলে আব্দুল্লাহ গাজী। তিনি ২০১৫ সালে ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে ওই মহিলা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে স্থানীয় মহিলা মেম্বার শান্তা বেগমের স্বামী মুজিব শেখ তার বাড়িতে অবরুদ্ধ করে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। বুধবার (২ জুন) বিকেলে মাদরাসা থেকে ওই শিক্ষককে অবরুদ্ধ রাখার পর বৃহস্পতিবার (৩ জুন) স্থানীয় একটি দালাল চক্রের ৫০ হাজার টাকায় রফাদফা শেষপর্যন্ত পণ্ড হয়ে যায়।

এ ঘটনায় নির্যাতিত কিশোরী মাদরাসা না যাওয়ায় তার বাবা তার কাছে কারণ জানতে চাইলে সে তার বাবাকে লম্পট শিক্ষকের এ কুকীর্তির ঘটনা জানায়। বিষয়টি স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই ছাত্রীর বাবা শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান তিনি। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারের স্বামীসহ বেশ কয়েকজন মিলে ৫০ হাজার টাকায় রফাদফা করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল্লাহ গাজী বলেন, শয়তানের ফেরে পড়ে কিশোরীর সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়েছি। আমি ভুল করেছি। এবারের জন্য ক্ষমা করে দেন।

স্থানীয় মহিলা মেম্বার শান্তা বেগমের স্বামী মুজিব শেখ জানান, মাদরাসার ছাত্রীর সঙ্গে অপকর্মের ঘটনাটি শিক্ষক স্বীকার করেছেন ও ক্ষমা চেয়েছেন।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ জানান, বিষয়টি জানতে পেরে মডেল থানা পুলিশেকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। মডেল থানার এসআই শাহরিয়ার অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

Loading