মিলন মেলায় পরিণত মহেড়া জমিদার বাড়ি ৯৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পদচারণায়

প্রকাশিত: ৮:২৮ অপরাহ্ণ , মার্চ ৬, ২০২১

৯৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পদচারণায়
মেহেদী হাসান চৌধুরী টাঙ্গাইল ঃ ১৯৯৫ সালে টাঙ্গাইলের করটিয়া সরকারি সা’দত কলেজের ছয়টি বিভাগ থেকে ১৮২জন সহপাঠি মাস্টার্স শেষ করেন। এরপর এই ব্যাচের সহপাঠিদের কারো সাথে কোন দিন দেখা না হলেও মাঝে মাঝে মুঠোফোনে যোগাযোগ রক্ষা করতেন কেউ কেউ। আবার কেউ কেউ চাকুরিজীবী বা দূরের বাসিন্দা হওয়ায় ব্যস্ততার কারণে মুঠোফোনেও যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেননি। তাই এই ১৮২জন সহপাঠিদের একসাথে করার লক্ষ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খোলা হয় ‘ফ্রেন্ডস ফর এভার মাস্টার্স ৯৫’। এরই মাধ্যমে ভ‚লে যাওয়া সেই পুরোনো সহপাঠিরা আবার যোগাযোগ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে শুক্রবার (৫ মার্চ) মিলিত হন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া জমিদার বাড়িতে (বর্তমানে মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার)।
এতে অংশ নিয়েছেন ৯৫’ ব্যাচের রাষ্ট্রবিজ্ঞান, হিসাব বিজ্ঞান, ইতিহাস, অর্থনীতি, বাংলা ও প্রাণী বিদ্যা বিভাগের ১৮২জন শিক্ষার্থীসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা।
সরজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পুরোনো সহপাঠি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পদচারণায় মিলন মেলায় পরিণত হয় পুরো জমিদার বাড়িটি। পুরোনো সহপাঠিতের কাছে পেয়ে কেউ কেউ আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। আবার কেউ কেউ পুরোনো বন্ধুদের নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠেন।
দিনাজপুরের অধ্যক্ষ মোঃ মাইন উদ্দিন এসেছেন তার পরিবার পরিজন নিয়ে এই মিলন মেলায়। কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান, র্দীঘদিন পেরিয়ে গেছে পুরোনো সহপাঠিদের সাথে দেখা হয় না। কারো কারো সাথে মুঠোফোন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা হতো। কিন্তু আজ সেই পুরোনো সহপাঠিদের কাছে পেয়ে খুবই ভাল লাগছে।
নাটোরের বড়াইগ্রামের রেজাউল করিম একজন শিক্ষক। তিনিও এসেছেন পুরোনো সহপাঠিদের সাথে দেখা করতে। তিনি জানান, এখানে এসে মনে হচ্ছে তিনি সেই কলেজ জীবনে ফিরে গিয়েছেন। এমন আয়োজন বারবার করলে হয়তো সবাই পুরোনো সহপাঠিদের সাথে দেখা করার সুযোগটা পাবে।
দেলদুয়ার উপহেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা দেওয়ান খায়রুন্নাহারও মিলিত হন এই মিলন মেলায় পুরোনো সহপাঠিদের সাথে। তিনি জানান, দীর্ঘদিন পর সেই পুরোনো বন্ধু-বান্ধবদের কাছে পেয়ে খুবই ভাল লাগছে। এ যেন সেই পুরোনো দিনের কলেজ ক্যাম্পাসে বসে আড্ডা দেয়ার মতো।
ঢাকা থেকে এসেছেন নিউজ টোয়েন্টিফোর এবং রেডিও ক্যাপিটালের ম্যানেজার (এ এন্ড এফ) মোঃ আমিনুর রহমান। তিনি জানান, চাকুরীর সুবাদে ব্যস্ততার কারণে পুরোনো সহপাঠিদের সাথে তেমন একটা যোগাযোগ ছিল না। তবে মাঝে মাঝে কয়েকজনের সাথে মুঠোফোন বা ফেসবুকে যোগাযোগ হতো। তবে এবার সবাই এবসাথে হওয়ায় তিনি খুবই আনন্দিত।
ওয়াল্টন গ্রুপেের এমডি ইভা রেজওনা লিনুও শত ব্যস্ততার মধ্যেও এসেছেন পুরোনো সহপাঠিদের সাথে দেখা করতে। তিনি জানান, পুরোনো সহপাঠিদের কাছে পেয়ে তাকে বারবার পুরোনো সব স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে। তার মনে হচ্ছে তিনি এখন সেই কলেজ প্রাঙ্গণে বসেই আড্ডা দিচ্ছেন।
এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই সকালে জমিদার বাড়ি প্রাঙ্গণে র‌্যালি বের করা হয়। দুপুরের খাবার শেষে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যাফেল ড্র।

Loading