সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ২:০৭ অপরাহ্ণ , ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১

হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কামিটিকে (পিআইসি) পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এর সঙ্গে চুক্তিপত্র করতে হয়। এই কাজে ১০০ টাকা মূল্যের ৩ টি স্ট্যাম্পের প্রয়োজন হয়। সব মিলিয়ে ৫০০-৬০০ টাকা খরচ হওয়ার কথা। কিন্তু একটি চুক্তিপত্রের জন্য পিআইসির কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা করে আদায় করছেন বলে অভিযোগ,ধর্মপাশা কার্যালয়ের সার্ভেয়ার আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে। এ ছড়াও আব্দুর রহিম প্রকল্পের প্রথম ধাপের অর্থের চেক বিতরণ করতে গিয়ে আরও ১ হাজার টাকা করে আদায় করেছেন বলে অভিযোগ কয়েকজন পিআইসির সদস্যের।

যদিও এ কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো: ইমরান হোসেন জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তবে বাঁধে প্রকল্পের বিপরীতে সম্ভাব্য বরাদ্দের অর্থের পরিমান উল্লেখসহ পিআইসির নাম সংবলিত সাইনবোর্ড নিয়েও বাণিজ্যে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে মো: ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে। যদিও সাইনবোর্ড পিআইসি সদস্যের নিজ অর্থায়নে যেকোনো জায়গা থেকে প্রস্তুত করে বাঁধে প্রদর্শনের কথা। মো: ইমরান হোসেন সুনামগঞ্জ পিনাক আর্ট নামে একটি প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠানে ধর্মপাশা উপজেলার ১৬৯ টি প্রকল্পের সাইনবোর্ড তৈরির অর্ডার করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে পিনাক আর্ট কর্তৃপক্ষ। পিআইসির সদস্যরা হাজার ১২-শ টাকার মধ্যে ১টি সাইনবোর্ড তৈরি করতে পারলেও দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় মো: ইমরান হোসেনের তৈরি করা সাইনবোর্ড সংগ্রহ করছেন। কেউ আবার নিজ উদ্যেগে সাইনবোর্ড তৈরি করছেন।

এবার ধর্মপাশা উপজেলার ৮ টি হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য ১৬৯ টি প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। সার্ভেয়ার মো: আব্দুর রহিম বলেন, এসওর (উপসহকারী প্রকৌশলী) নির্দেশে আমি চুক্তিপত্রের কাজ করেছি। চুক্তিপত্রের জন্য কোনো টাকা আদায় করা হয়নি। অনেকেই আছে ৩ টি স্ট্যাম্পের জন্য একটি টাকাও দেয়নি। আমি শুধু আজকে (বুধবার) একটি চেক দিয়েছি, যেকানে অন্য চেকের বিষয়ে কিছুই জানিনা।

চুক্তিপত্রের জন্য কোনো আর্তিক লেনদেনের সুযোগ নেই জানিয়ে সুনামগঞ্জ পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী মো: ইমরান হোসেন জানান, সার্ভেয়ার আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। আর তিনি সাইনবোর্ড অর্ডার করেননি। প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠানে তিনি সব তথ্য দিয়েছেন, যেন সাইনবোর্ডে কোনো ভুলভ্রান্তি না হয়।

Loading